এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : হুমাম কাদের চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টার সাথে যারা যারা আমরা আয়না ঘর পরিদর্শন করেছি। গত ছয় মাস ধরে আমরা একটা আশা নিয়ে ছিলাম। যে কোন মুহুর্তে গিয়ে ‘আয়নাঘর’ দেখে আসবো। কিছু জন মাসের জন্য ছিল, আর কিছু জন অনেক বছর ছিল।
তিনি বলেন, যেভাবে আমরা আয়না ঘরটাকে মনে রেখেছিলাম , ঠিক সেরকমই পেয়েছি। কিছু কিছু জায়গা পরিবর্তন হয়েছে। যে জায়গাটা আমরা ইন্টারগেশন হিসেবে চিহ্নিত করেছি। সেই রুমের অনেক কিছুই তারা নিয়ে গেছে। ঐ এরিয়াটা ভাঙচুর হয়েছে। যেটা স্বাভাবিক। যে আমরা জানতার কিছুটা পরিবর্তন আসবে।
তবে, একটা জায়গায় আজমীর সাহেব ও আমি দু’জনেই অবাক হলাম যে, সেলগুলোর মধ্যে আমাদের রাখা হতো। সেই সেলগুলো প্রায় এককই রকম রয়েছে। আমাকে আর আজমির সাহেবকে যে দুটো সেলের মধ্যে রাখা হয়েছে। একটা শুধু ছোট জিনিস পরিবর্তন করেছে। জানালাগুলো কালো রঙ দিয়ে ঢাকা ছিল। সেই জানালাগুলোকে আবার ক্লিয়ার করে দেওয়া হয়েছে। ওটা ছাড়া আর কোন পরিকর্তন হয়নি।
হুমাম কাদের চৌধুরী বলেন, সত্যিকার অর্থে আমাদের মাঝে সেই সুযোগ ছিলনা। বাকি বিল্ডিং কেমন ছিল তা দেখতে। আমাদেরকে যখন রুম থেকে বের করে দেওয়া হতো। তখন আমাদের চোখ বেঁধে দেওয়া হতো। যম টুপি পড়ানো হতো। প্রথম বারের মতো নিজে প্রথম দেখতে পারলাম এই বিল্ডিংটা দেখতে কেমন। ভিতরে থাকায় অবস্থায় অনেকবার চিন্তা করেছিলাম যে বিল্ডিংটা কি রকম হতে পারে।
অনেকেই বারবার করে বলছে যে, এতো দিন কেন লেগে গেল। ৬ মাস কেন লেগে গেল। বাইরের মানুষ বার বার এই প্রশ্ন করতে পারে। তবে, আমি একজন ভূক্তভোগী হিসেবে দেশের আপামর জনগণকে জানিয়ে দিতে চাই। অনেক বছর আমরা অপেক্ষা করেছি। তাই ছয়মাস আমাদের জন্য বেশি সময় ছিলনা।