এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান চলবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে জানা যায়, গত শনিবার থেকে তিন দিন চলা অনশন ভেঙে অবস্থান কর্মসূচি হাতে নেয় শিক্ষার্থীরা। অবস্থানের সাথে সাথে চলতে থাকে জুলাই বিপ্লবে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনসমূহের হামলার ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী, কবিতা পাঠ, গণবক্তব্য।
অবস্থানরত ঢাবির ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ফজলুর রহমান জানান, যতদিন পর্যন্ত গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা না হবে ততদিন আমাদের এই অবস্থান চলতে থাকবে। যে দাবি সারাদেশের আপামর জনতার; সেই দাবি নিয়ে আমাদেরকে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেনো অনশন করতে হবে।
আমাদের শহীদ ভাই-বোনদের পরিবারে এখনও মাতম চলছে, আহতরা এখনও হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী খুনিরা সরকারের নীরবতার সুযোগে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা সংঘটিত হয়ে হরতালের আহ্বান জানাচ্ছে, আমাদের ভাইদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে যা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। আমরা ছাত্র-জনতা অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, আ.লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করুন।
আরবি বিভাগের ১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, গত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ গুম-খুন, গণতন্ত্র হত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, সর্বশেষ জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার উপর গণহত্যা চালিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশে থাকতে পারে না। ২০২৪ এর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ থাকবে কি থাকবে না; সেই রায় দিয়ে দিয়েছেন ছাত্র-জনতা। অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ঘোষণা চাই। নিষিদ্ধ না হওয়া অবধি আমাদের অবস্থান চালিয়ে যাব।