এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ছাত্র জনতার তীব্র গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইছে। মাঠের রাজনীতিতে বিএনপি-জামায়াতের বিচরণ বাড়ে। বাধামুক্ত পরিবেশে দুই দল সারাদেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে। তবে সম্প্রতি বিএনপি দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী জামায়াতের সঙ্গে নানান বিষয়ে তর্কে জড়ায়। ফলে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব দিন দিন বেড়েই চলছে।
সম্প্রতি জামায়াতের ছাত্র সংঘটন ছাত্রশিবিরের সঙ্গে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলও সংঘাতে জড়িয়েছে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে।
সম্প্রতি যুগান্তর মাল্টিমিডিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে জামায়াত-বিএনপি দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাবেক আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া।
তিনি বলেছেন, বিএনপি এবং জামায়াত দুইটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। আর দুইটি বৃহত্তর দলের মধ্যে মত পার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু নির্বাচনের সময় কী হয় সেটা আগে থেকে বলা খুবই কঠিন। নির্বাচনের তারিখ যখন ফিক্সড করে দেওয়া হবে, নির্বাচনের জন্য যখন সবাই প্রস্তুতি নেবে তখন দেখবো অন্য একটা খেলা শুরু হবে। যেটা এখনকার চাইতে একেবারে ভিন্ন, যেটার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই। যেটা এখনকার ঘটনার থেকেও সম্পূর্ণ ভিন্ন।
জামায়াত প্রসঙ্গে রেজা কিবরিয়া বলেন, জামায়াত একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। এরা খুবই গণতান্ত্রিক একটি দল। তাছাড়া একাত্তরের জামায়াত আর এখনকার জামায়াত এক জিনিস নয়। আমি জামায়াতের অনেক লোককে চিনি। তারা অনেক উচ্চশিক্ষিত এবং মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে তাদের কোনো দ্বিমত নাই।
রেজা কিবরিয়ার মতে, জামায়াত নেতাদের যে সততা রয়েছে, এটার জন্য সাধারণ মানুষ তাদের বিশ্বাস করে। অন্যান্য দলের লোকদের চেয়ে তাদের সততা অনেক বেশি। এটা নির্বাচনের সময় বোঝা যাবে।
তবে তাদের সমস্যা হলো সারাদেশে তাদের ভোট হলো মাত্র সাড়ে ৮ শতাংশ। এখন যদি সেটা দ্বিগুণও হয় তাহলে হবে ১৬ শতাংশ। আর এ ১৬ শতাংশ ভোট দিয়ে নির্বাচনে জেতা সম্ভব না। এটা তাদের মূল সমস্যা।