মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ০৫:৫০:২৪

রংপুরে ডিমের হালি কত হলো জানেন?

রংপুরে ডিমের হালি কত হলো জানেন?

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রংপুরের বাজারে স্বস্তি দেখা দিয়েছে আলুসহ বিভিন্ন সবজিতে। সেইসঙ্গে কমেছে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম। তবে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এদিন প্রতিকেজি মিনিকেট চাল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম প্রকারভেদে ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি টমেটো ১৫-২০ টাকা, গাজর ২০-২৫ টাকা, ঝিংগা ১১০-১২০ টাকা, ফুলকপি ১৫-২০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ১০ টাকা পিস, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, দুধকুষি ৫০-৬০ টাকা, সজনে ১৫০-১৬০ টাকা, চিকন বেগুন ৩০-৩৫ টাকা, গোল বেগুন ৪৫-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭০-৮০ টাকা, পটোল ৭০-৮০ টাকা, শিম ২৫-৩০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৩০-৩৫ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ২৫-৩০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, লেবুর হালি ৩০-৩৫ টাকা, ধনেপাতা ৩০-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা, আদা ১০০-১২০ টাকা, রসুন ৮০-৯০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম। পাইকারি বাজারে প্রতি হালি ডিমের দাম পড়ছে ৩২ টাকা। তবে খুচরা বাজারে সেই ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা। গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে ডিমের হালি ছিল ৪০-৪১ টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, নাগালের মধ্যে রয়েছে সব ধরনের আলুর দাম। কার্ডিনাল আলু ২০ টাকা কেজি, শিল আলু ৩৫ টাকা, ঝাউ আলু ৩৫ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি আলু ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মুলাটোল বাজারের সবজি বিক্রেতা হেলাল মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার রমজানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ, মরিচের দাম অনেকটাই কম। সেইসঙ্গে ডিমের দামও কমতে শুরু করেছে। তবে বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু চড়া। আর কয়েক দিন পর সরবরাহ বাড়লে দামও কমে আসবে।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানের শুরু থেকে স্থিতিশীল রয়েছে মুরগির দাম। খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৬০-২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০-৫৫০ টাকা এবং পাকিস্তানি লেয়ার ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস ৭২০-৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১০০০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সিটি বাজারের মুরগি বিক্রেতা মেরাজ হোসেন বলেন, মুরগির আমদানি বেড়েছে। রমজানে মুরগির দাম নিয়ে যে শঙ্কা ছিল তা এখন নেই। শুরু থেকেই দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মসুর ডাল (চিকন) ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১৩০ টাকা, চিনি ১২০-১২৫ টাকা, ছোলাবুট ১০০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে বিআর২৮- ৮৫ টাকা, জিরাশাইল ৭৩-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৯০-৯৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৯৫-৯৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সিটি বাজারের চাল বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম প্রকারভেদে ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। বাজারে নতুন ধানের চাল না আসা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভবনা দেখছি না।

অপরদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুই মাছ ২৭০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাস ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছি মাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে