এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে অপহরণের শিকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীর অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘‘অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর অবস্থান কিছুটা শনাক্ত করা গেছে। এ বিষয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।’’
পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে কেমন জানতে চাইলে কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা অবস্থা ভালো।’’
অপহৃতরা হলেন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশন চাকমা ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো।
অপহৃতদের মধ্যে রিশান চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য। পিসিপি এ ঘটনায় ইউপিডিএফকে দায়ী করলেও তারা তা অস্বীকার করেছে। ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেছেন, অপহরণের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই ধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আমরা করি না।
ব্রিফিংয়ে নির্বাচনের বিষয়ে মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকার ও নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে সেনাবাহিনী।’’
তিনি বলেন, ‘‘মেজিস্ট্রিসি পাওয়ারে কাজ করতে গিয়ে রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছে না সেনাবাহিনী। কিন্তু আটকের পর তা অন্য বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে সেনাবাহিনীর কোনো ভূমিকা নেই। কোনো রকম কোনো গুজবে সেনাবাহিনী বিচলিত নয়।’’
এ সময় তিনি জানান, গত দুই মাসে দেশে শিল্পাঞ্চল এলাকায় ১৩৭টি এবং এর বাইরে ২৩২ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ হাজার ৮২২ জনকে। কিশোর গ্যাং, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত, ছিনতাইকারী, প্রতারক চক্রের সদস্যরা রয়েছে।
এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানে ৪ হাজার ৩৪০ জন এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর দ্বারা চিকিৎসা নিয়েছে, এখনো চিকিৎসাধীন ৪৩ জন রয়েছেন বলে জানান কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।