এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রায় সাড়ে আট মাস আগে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে দেশে-বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দলটির নেতারা।
গণহত্যার অভিযোগে দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা, নিবন্ধন বাতিল এবং আগামী নির্বাচনে দলটিকে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার দাবি উঠছে নানা মহল থেকে। এই অবস্থায় অন্তর্বতী সরকারের অবস্থান সম্পর্কে মুখ খুলেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
দৈনিক যুগান্তরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. আসিফ নজরুল বলেন, একটা দল নিষিদ্ধ করা বা নিবন্ধন বাতিল করাসংক্রান্ত বিভিন্ন আইন দেশে রয়েছে, নজির রয়েছে, আদালতের রায়ও রয়েছে।
দল নিষিদ্ধকরণের ব্যাপারটা আদালতের রায়ে হতে পারে, এটা নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে অথবা পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশনের মাধ্যমেও হতে পারে। এ মুহূর্তেই এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না, বিচারিক প্রক্রিয়ার ওপর ছেড়ে দিয়েছি, বাংলাদেশের মানুষের মতামতের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
আসিফ নজরুল বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলাপে যদি সব দল মিলে প্রস্তাব করে যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হোক বা আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে যেন অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া হয় অথবা কোনো আদালতের রায়ের অবজারভেশনে যদি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আসে, তখন অবশ্যই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগামী ডিসেম্বরের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না। এখনো অনেক সময় বাকি আছে। এ সময়ের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া এবং জনমতের আরও সুস্পষ্ট প্রকাশ আমরা দেখতে পারব। এটার মধ্য দিয়েই ব্যাপারটা নির্ধারিত হবে।
নির্বাচন কবে হবে এ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের যে টাইমলাইন দিয়েছেন, এর কোনো রকম ব্যত্যয় হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় নিজের ভূমিকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এটা নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চাই না। কারণ, আমি তো গোপনীয়তার শপথ নিয়েছি। ব্যক্তিগত ভূমিকার চেয়ে সরকারের প্রতি আমার যে দায়িত্বশীলতা, সেটার দিকে বেশি লক্ষ রাখা উচিত। ফলে আমি বিস্তারিত বলব না।
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মতবিরোধের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরবর্তীকালে কোনো কোনো সময়ে যেটার অভাব দেখেছি এবং তা দেখামাত্র আমার মনেই আশঙ্কা তৈরি হয় যে, গণঅভ্যুত্থানের পক্ষশক্তির মধ্যে মতভেদ থাকবে, মতভিন্নতা থাকবে; কিন্তু বড় ধরনের কোনো বিরোধ যেন না থাকে। ওই সময়ে মতবিরোধ থাকলে আমরা কঠিন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারতাম না।