এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুই পুত্রবধূসহ সোমবার (৫ মে) দেশে ফিরতে পারেন। তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে ঢাকায় আনার চেষ্টা চলছে। এ জন্য সহযোগিতা চেয়ে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেটা সম্ভব না হলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজের বিজনেস ক্লাসে দেশে ফিরতে পারেন।
খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, রবিবার ও সোমবার ধরে পরিকল্পনার প্রস্তুতি চলছে। এখনো এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ঠিক হয়নি। আমরা অ্যাম্বুল্যান্সের অপেক্ষায় আছি।
৭ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যাসে যুক্তরাজ্যে যান খালেদা জিয়া।
সেখানে তাঁকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়া সরাসরি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় উঠেন। এই হাসপাতালের লিভার বিশেষজ্ঞ জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য বলেন, লন্ডন ক্লিনিক থেকে খালেদা জিয়াকে পূর্ণাঙ্গ ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।
বলা হয়েছে, তিনি দেশে যেতে পারবেন। তবে চিকিৎসার মধ্যেই থাকতে হবে।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর দুই পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমান দেশে আসছেন। তিন নাতনির সবাই দেশে আসবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।
খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিণী শর্মিলা দেশে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও দীর্ঘদিন পর দেশে আসছেন তারেক রহমানের সহধর্মিণী জুবাইদা। তারেক রহমানের সঙ্গে তিনিও এক এগারো সরকারের সময় লন্ডন চলে যান।
জানা গেছে, রোজার ঈদের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়, যা চলে কয়েক সপ্তাহ। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। তিনি আগের চেয়ে এখন বেশ ভালো আছেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তবে লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা ঝুঁকির কথা চিন্তা করে তাঁর লিভার প্রতিস্থাপন করেননি।