এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫, সংক্ষেপে যাকে বলা হচ্ছে “সংশোধন অধ্যাদেশ”, এটি ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে প্রণীত হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে একটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে—ধারা ৩৭ক—যার আওতায় সরকারি কর্মচারীদের আচরণ এবং শাস্তির বিষয়কে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
এই ধারা অনুসারে, নিচের চারটি কাজ এখন থেকে সরকারি চাকরিতে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে:
অনানুগত্যমূলক আচরণ বা অন্য কর্মচারীদের মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করা।
বিনা ছুটিতে বা যৌক্তিক কারণ ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা।
অন্য কর্মচারীকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া বা উসকানি দেওয়া।
কারো কর্তব্য পালনে বাধাগ্রস্ত করা।
এই অপরাধগুলোর শাস্তি হিসেবে থাকছে:
নিম্নপদে বা বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ
চাকরি থেকে অপসারণ
চাকরি থেকে বরখাস্ত
নির্বাহী আদেশ দ্বারা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অভিযোগ গঠন করতে পারবে এবং ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট দণ্ড কার্যকর করা হবে, আর এর বিরুদ্ধে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আপিল করা যাবে। তবে রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র পুনর্বিবেচনার আবেদন করা সম্ভব, আপিল নয়।