এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গত বছরের ৮ আগস্ট নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। বছর পূর্ণ হতে চলেছে গণআকাঙক্ষার এই সরকারের।
অন্তর্বতী সরকারের সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম।
সেই সীমাবদ্ধতা কী, নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে তাও তুলে ধরেছেন এই জুলাই বিপ্লবী। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিভাগের দিকে পক্ষপাতদুষ্ট বলেও অভিযোগ তার।
আরও পড়ুন: হাতে হাত রাখলেন সালাহউদ্দিন তাহের ও নাহিদ
শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে দেওয়া ওই পোস্টে সারজিস লিখেছেন, ‘এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম সীমাবদ্ধতা হলো- উপদেষ্টা পরিষদ থেকে শুরু করে উন্নয়ন বরাদ্দ।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘অনেকে ক্ষেত্রে তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) একটি বিভাগের দিকে পক্ষপাতদুষ্ট।’
সারজিসের এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বহু নেটিজেন। এনসিপি নেতার পোস্টের নিচে মন্তব্য করে তারা তাদের মতামত জানিয়েছেন।
মি. ফরএভার নামে একটি আইডি থেকে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো তাদের নিরপেক্ষতার অভাব। উপদেষ্টা পরিষদ গঠনে কিংবা উন্নয়ন বাজেট বণ্টনে অনেক সময় দেখা যায়, একটি নির্দিষ্ট বিভাগ বা অঞ্চলের প্রতি তারা পক্ষপাত দেখায়। এতে সার্বজনীন উন্নয়ন ব্যাহত হয় এবং জনআস্থা ক্ষুণ্ণ হয়, যা নির্বাচনকালীন সরকারের উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’
উপদেষ্টা পরিষদ থেকে কয়েকজন উপদেষ্টাকে বাদ দেওয়া হোক। পরিস্থিতি সুন্দর হয়ে যাবে বলে পরামর্শ আরেক নেটিজেন।
আরও পড়ুন: সারোয়ারকাণ্ডে নাম জড়ানোয় প্রতিবাদ জানালেন এনসিপি নেত্রী
মো. মহিউদ্দিন মাহমুদ নামে একজনের মন্তব্য, ‘ব্যক্তি পর্যায়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও নিষ্ঠাবান আর প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিবেশ থাকলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হবে।’
জাকারিয়া রোমেল নামে একজন অবশ্য সারজিসের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে লিখেছেন, ‘একটা বিভাগ না একটা গ্রুপের দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের সীমাবদ্ধতা, আর সেটা হলো বৈষম্যবিরোধী নামে এনসিপি নেতাদের দিকে।’
যদিও কারও মন্তব্যেরই কোনো জবাব দেননি পোস্টদাতা সারজিস আলম। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দেওয়া এক পোস্টে তিনি ‘ইসরাইলের পতন আবশ্যক ইনশাআল্লাহ’ বলে মন্তব্য করেন।