এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নে। টানা ৫ দিন পর আজ (শুক্রবার) সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখায় স্বস্তি ফিরেছে দুর্গত মানুষের মধ্যে।
বৃষ্টি কমে আসায় মাইনী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেছে। ফলে মেরুং বাজার, সোবহানপুর, চিটাগাং পাড়া, কবাখালীসহ নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো থেকে ধীরে ধীরে পানি নামছে। যদিও কিছু স্থানে এখনও জলাবদ্ধতা রয়েছে, তবে স্থানীয়রা ঘরবাড়ি মেরামত ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছেন।
বন্যার কারণে দীঘিনালা-লংগদু সড়কে তিনদিন যান চলাচল ব্যাহত হলেও পানি কমায় এখন সব ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে লংগদুর সাথে খাগড়াছড়ি ও দেশের অন্যান্য এলাকার সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায়।
মেরুং বাজারের ব্যবসায়ী মো. রহমত বলেন, রাস্তা থেকে পানি নেমে গেলেও কাদা আর নোংরা পানিতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মমতাজ বেগম জানান, ঘরের চারপাশে এখনও পানি জমে আছে। নলকূপ ও পানির উৎসগুলোতে বন্যার পানি ঢুকে বিশুদ্ধ পানির সংকট তৈরি হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পানি বাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ইউএনও সুজন চন্দ্র রায় আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সহায়তা কার্যক্রম চলবে।
স্থানীয়রা আশা করছেন, বৃষ্টি পুরোপুরি থেমে গেলে এক-দুই দিনের মধ্যেই মেরুংয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।