এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, স্থানীয় সরকার ও পিআর (প্রতিনিধিত্বমূলক) পদ্ধতিতে নির্বাচন চাওয়াদের উদ্দেশ্য অসৎ এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী। তিনি বলেন, “পিআর পদ্ধতি খায় না মাথায় দেয়—কেউ বোঝে না।”
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজিত মৌন মিছিল কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মসূচিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত হয়।
সালাহউদ্দিন বলেন, “জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য অটুট রাখতে হবে। কেউ যেন নির্বাচনকে পিছিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার সুযোগ না পায়।” তিনি অভিযোগ করেন, কিছু মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে এবং আবারও দেশে ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ও অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, “এই জুলাইয়ের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ না হলে, ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়ী থাকবে।”
একইদিন নয়াপল্টনে যুবদলের কর্মসূচিতে দেওয়া বক্তব্যেও গোপালগঞ্জে এনসিপির ওপর হামলার সমালোচনা করেন তিনি। এনসিপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনারা রাজনীতিতে নতুন, অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করুন। কিন্তু এমন কর্মসূচি দেবেন না, যাতে মনে হয় সরকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে—এটা উদ্দেশ্যমূলক।”
শাপলা প্রতীক না পাওয়া নিয়ে এনসিপির প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, “জাতীয় প্রতীকের বাইরে তো আরও মার্কা ছিল। ধানের শীষ মার্কাটি ১৯৭৮ সালের আগে থেকেই ছিল এবং আজও তাতে কেউ প্রশ্ন তোলে না।”
তিনি সরকারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম ডেমোক্রেসি, কিন্তু এখন চলছে মবক্রেসির রাজত্ব। যারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে চ্যালেঞ্জ করছে, তারা কারা ও কেন—এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে সরকারকে।”
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজন নিয়ে যথাযথ নির্দেশনা না দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “লন্ডন বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে আমরা নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনার আশা করেছিলাম। কিন্তু এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি।”
অবশেষে তিনি বলেন, “আমরা চাই, এই নির্বাচন বিশ্বমানের হোক—অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। কোনো পক্ষপাতিত্ব যেন না হয় এবং কোনো ইস্যুর আড়ালে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র না চলে।”