বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:৩৬:৫০

উন্নয়নের প্রচারে ছেয়ে গেছে ঢাকা

উন্নয়নের প্রচারে ছেয়ে গেছে ঢাকা

পাভেল হায়দার চৌধুরী : সরকারের উন্নয়ন প্রচারণার বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে রাজধানী ঢাকা। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের (উত্তর-দক্ষিণ) সৌজন্যে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিলবোর্ড টাঙানোর মধ্য দিয়ে প্রচারভিযান শুরু হয়েছে সরকারের।

১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় বিলবোর্ড টাঙানোর কাজ। উত্তরা, ধানমণ্ডি, গুলশান, বনানী, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, শাহবাগ, মৎস্যভবন, রামপুরাসহ নগরীর প্রায় সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ সড়কে লাগানো হয়েছে বিলবোর্ড। ঢাকা ছাড়াও অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকাতেও পর্যায়ক্রমে দেখা যাবে উন্নয়নের নানা স্লোগান।

নগরীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ, ক্রীড়া, মৎস্য উন্নয়ন ও কূটনীতিতে সরকারের অর্জিত বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরা হয়েছে বিলবোর্ডগুলোতে। এগুলোতে শোভা পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। তার সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র প্রধানদের ছবিও দেখা গেছে- যারা গত সাড়ে ৬ বছরের বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সফর করেছেন। বিলবোর্ডগুলোতে সরকারের উন্নয়নমুলক বিভিন্ন স্লোগান শোভা পেয়েছে। উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ’, ‘জাতিকে এগিয়ে নিতে আমরা আজ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ’, ‘ক্রিকেট অঙ্গনে সাফল্য অর্জন নিবিড় পরিচর্যার প্রতিফলন’ ইত্যাদি।

এদিকে ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা মহানগরের নেতা-কর্মীরা মেতে উঠেছেন ব্যক্তিগত প্রচারণায়। বিভিন্ন পোস্টার, তোরণ, দেওয়াল লিখন ও বিলবোর্ডে নিজেদের ছবি ব্যবহার করে রাজনৈতিক পরিচিতি বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন তারা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন প্রতিবেদককে বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচারই আমাদের লক্ষ্য। এজন্য প্রচারের কাজে সরকারকে সহযোগিতা করছে সিটি করপোরেশন। তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সীমানার মধ্যে আমরা প্রায় ৫০টি বিলবোর্ড টাঙানোর উদ্যোগ নিয়েছি।

উত্তরের মেয়র আনিসুল হক বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে দৃশ্যমান করতে বিলবোর্ডে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার চেষ্টা করছে সিটি করপোরেশন। এরই অংশ হিসেবে উত্তরের সীমানায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে বিলবোর্ড টাঙানো হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় গত ৩১ আগস্ট দেশের ১১টি সিটি মেয়রের সঙ্গে বৈঠক করে বিলবোর্ডে সরকারের প্রচারকাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়।

আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, এ উন্নয়ন প্রচারের মধ্য দিয়ে একদিকে জনগণকে সরকারের অর্জন অবহিত করা হবে অন্যদিকে অপপ্রচারের উপযুক্ত জবাবও দেওয়া হবে।

ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মনে করেন, প্রচার না থাকায় জনগণ দেশের উন্নয়ন সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নয়। এ জন্যই প্রচারে মনোযোগী হয়েছে সরকার।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন বলেন, সরকারের প্রচারকাজে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই গভীরভাবে খেয়াল রাখে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার আগে তা করেনি। উন্নয়ন প্রচারের এ উদ্যোগ ইতিবাচক বলে মনে করেন তিনি।

নেতারা বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, মা ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবেলায় ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ প্রভৃতি বিষয়ে সাফল্যের কারণে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের মডেল দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশ। তাছাড়া গত ৪০ বছরে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে, গড় আয়ু বেড়েছে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘ই-স্বাস্থ্য’ সেবা চালু করায় জাতিসংঘের ‘সাউথ সাউথ’ পুরস্কার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া জঙ্গী-সন্ত্রাস দমন, নারীর ক্ষমতায়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন ও এমডিজি অর্জনে সরকার দারুণ সফল বলেও জানান তারা।-বাংলা ট্রিবিউন
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে