বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:১৮:২৯

সিম নিবন্ধনের প্রক্রিয়া খুঁজছে মন্ত্রণালয়

সিম নিবন্ধনের প্রক্রিয়া খুঁজছে মন্ত্রণালয়

কাজী সোহাগ : মোবাইল সিম নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। তবে চূড়ান্ত হয়নি প্রক্রিয়া। এ ইস্যুতে বিভক্তি দেখা দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মধ্যে। দুই ধরনের সিদ্ধান্তের কথা জানায় প্রতিষ্ঠানগুলো। বেশ কয়েকবার চিঠি চালাচালিও হয়েছে। বিটিআরসি’র সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোবাইল ফোন সিমের সংখ্যা ১২ কোটি ৮৭ লাখ। এসব সিম কোন প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন করা হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। গ্রাহকদের হয়রানি কম হয় এমন উপায় খুঁজছে মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি।

এ প্রসঙ্গে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, মোবাইল গ্রাহকদের নিজেদের নিরাপত্তা এবং এ খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ প্রক্রিয়াটি শুরু করা হয়েছে। অনিবন্ধিত সিম কার্ড ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলের মতো ঘটনা, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অপরাধের ঝুঁকি কমানো, অবৈধ ভিওআইপি পরিচালনা বন্ধ করতে সিম নিবন্ধনের বিকল্প নেই। এ থেকে পিছিয়ে আসারও সুযোগ নেই। এদিকে সিম পুনঃনিবন্ধনের সিদ্ধান্তে নাড়া খেয়েছে পুরো  টেলিকম খাত। বাজারে থাকা প্রায় ১৩ কোটি সিমের সঠিক মালিকানা যাচাই করার বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অপারেটররা জানান, সিম রেজিস্ট্রেশন ইস্যু নিয়ে অনেকটা প্যানিক তৈরি করা হয়েছে। গ্রাহকদের মধ্যে ভীতির জন্ম নিয়েছে।

তারা মনে করছেন, এটা অনেক ঝামেলার বিষয়। অন্যদিকে সরকারের শীর্ষ মহলের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে সিম কার্ড বড় ধরনের অপরাধ কাজের সহায়ক। সার্বিকভাবে মোবাইল সিমের ইমেজটা নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এর আগে মোবাইল অপারেটরদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক  বৈঠকে সিম কার্ড নিবন্ধনের বিষয়ে একটি প্রক্রিয়া প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়। সেখানে বলা হয়, সব সিমের পুনঃনিবন্ধন লাগবে না। নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার থেকে তথ্য নিয়ে মোবাইল অপারেটররা গ্রাহকের নিবন্ধন সঠিক আছে কি-না, সেটি যাচাই করবে। এ যাচাই প্রক্রিয়া শেষে যেসব সিম কার্ডের নিবন্ধনের তথ্য মিলবে না অথবা যেসব সিমের ভুয়া নিবন্ধন পাওয়া যাবে, সেসব ব্যবহারকারীকে এসএমএসের মাধ্যমে সতর্কবার্তা দেয়া হবে।

এরপর যারা সঠিকভাবে নিবন্ধন করবেন না, তাদের সিম কার্ড বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তারপরও এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে কিছুটা এগিয়েছে মন্ত্রণালয়। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সিম নিবন্ধনের তথ্য যাচাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় ও নিবন্ধন অনুবিভাগে (এনআইডি) গ্রাহকদের তথ্য দেয়া শুরু করেছে মোবাইল অপারেটররা। পাশাপাশি এনআইডির সঙ্গে চুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবীর বলেন, অপারেটররা এনআইডি কর্তৃপক্ষকে তথ্য দেয়া শুরু করেছে। এনআইডি কর্তৃপক্ষ সেসব তথ্য গ্রহণও করেছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কাজগুলো করা হবে।

এর আগে ৮ই সেপ্টেম্বর  মোবাইল ফোনের সব সিম পুনরায় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক চিঠি দেয়া হয় বিটিআরসিকে। চিঠিতে বলা হয়, সব সিম পুনঃনিবন্ধন করার উদ্যোগ নিতে। তিন মাস সময়সীমার মধ্যে কাজটি শেষ করতে হবে। জঙ্গিবাদ ও চাঁদাবাজি বন্ধে সিম নিবন্ধন জরুরি। ২০০৮ ও ২০১০ সালে অপারেটরদের চিঠি দিয়ে সিম নিবন্ধন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। ২০১৪ সালের ১লা এপ্রিল হাইকোর্ট নিবন্ধন ছাড়া বিক্রি করা সিম কার্ড অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এর বাইরে সিমের সঠিক নিবন্ধন নিশ্চিত করতে আঙুলের ছাপ পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

চলতি বছরের ১৬ই ডিসেম্বর, অর্থাৎ বিজয় দিবসের দিনে এ পদ্ধতি চালুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে নতুন সিম নেয়ার ক্ষেত্রে নিবন্ধনের পর তা চালু হতে ৭২ ঘণ্টা সময় নেয়া হবে। গ্রাহকের দেয়া তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে তারপরেই সিম সক্রিয় করা হবে। পুরাতন ও নতুন সিম কার্ডের নিবন্ধনের তিনটি পর্যায়ের কথা উল্লেখ করে বিটিআরসি’র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশনস উইং) জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত ‘সিম নিবন্ধন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশ করা হয়। প্রথম পর্যায়ের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সিম/রিম যাচাই প্রক্রিয়া চলছে। যাচাই শেষে সঠিক এবং ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে নিবন্ধিত সিম/রিম পৃথক ও শনাক্ত করা হবে। এ পর্যায়ে গ্রাহকদের সম্পৃক্ততার প্রয়োজন পড়বে না বিধায় কোন ভোগান্তির আশঙ্কা নেই বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোন প্রকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একাধিক সিম/রিম বা জাতীয় পরিচয়পত্রের জাল কপির ভিত্তিতে নিবন্ধিত সিম/রিমধারীগণকে সঠিক জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে প্রতিটি সিমের নিবন্ধনের জন্য অনুরোধ জানানো হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবহারকারী সাড়া প্রদান না করলে সংশ্লিষ্ট সিম/রিম বন্ধ করে দেয়া হবে। তৃতীয় পর্যায়ের ক্ষেত্রে (নতুন সিম/রিম ক্রয়ের ক্ষেত্রে) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ১৬ই ডিসেম্বর থেকে দেশের সকল সিম/রিম আঙ্গুলের ছাপসহ নিবন্ধন করা হবে। সকল গ্রাহককে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিটিআরসি’র নির্ধারিত ফরম পূরণ করে সশরীরে নিকটতম কাস্টমার কেয়ার/সার্ভিস সেন্টারে উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন আপনার এখন ক্রয়কৃত সিম/রিম-এর ভেরিফিকেশনও এনআইডি কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরিত হবে।

এছাড়া, নির্ধারিত সময় শেষে বাজারে প্রি-অ্যাকটিভেটেড বা অনিবন্ধিত সিম/রিম পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের অনিবন্ধিত সিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধান করে দিয়েছে সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সঠিকভাবে নিবন্ধন না করা সিম/রিম ব্যবহার করলে কৃত অপরাধের দায় আপনাকে বহন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহকদের সহযোগিতা চেয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসি। এতে বলা হয়, দেশ ও জাতির নিরাপত্তার স্বার্থে আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য। এ দেশ আপনার, দেশের স্বার্থ রক্ষায় আপনার ভূমিকা মূল্যবান। তবে এ প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এক ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়েই ১৪ হাজার ১১৭টি সিম: সিমের নিবন্ধন যাচাই করতে গিয়ে হরেক রকম জালিয়াতির তথ্য পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার। এক ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়েই নিবন্ধন করা হয়েছে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম। আর এক কোটি সিমের মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধন করা সিমের সংখ্যা মাত্র ২৫ ভাগ। বাকি ৭৫ ভাগ সিমের নিবন্ধন ভুয়া। গতকাল টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গ্রাহকের হাতে থাকা প্রায় ১৩ কোটি সিমের মধ্যে এক কোটির তথ্য সরকার হাতে পেয়েছে। এর মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধন হয়েছে মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি। এর আগে সচিবালয়ে তিনি মোবাইল অপারেটরগুলোর প্রধান নির্বাহী, ইসি’র জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, এনটিএমসি ও বিটিআরসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন না করে সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সমপ্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রণালয়। ওই সিদ্ধান্তের পর মোবাইল গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত অপারেটররা গ্রাহকদের যে তথ্য দিয়েছে তা খুবই অপর্যাপ্ত। সব অপারেটর মিলিয়ে প্রায় ১৩ কোটি সিম আছে। এর মধ্যে মাত্র ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ সিমের তথ্য মিলেছে। তিনি জানান, অপারেটরদের মধ্যে এয়ারটেল দিয়েছে ১৪ লাখ চার হাজার ৯৩৮ জন গ্রাহকের তথ্য। এটা তাদের গ্রাহক সংখ্যার ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

বাংলালিংক ২৩ লাখ ৫৫ হাজার সিম নিবন্ধনের তথ্য দিয়েছে, যা তাদের মোট গ্রাহকের ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। সিটিসেল দিয়েছে ৪ লাখ ১৪ হাজার, অর্থাৎ ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ গ্রাহকের নিবন্ধনের তথ্য। রবি ১৮ লাখ (৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ) এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটক ১৬ লাখ (৩৯ দশমিক ৩২ শতাংশ) গ্রাহকের তথ্য দিয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণফোন তাদের ৫ কোটির বেশি গ্রাহকের মধ্যে মাত্র ২২ লাখের নিবন্ধনের তথ্য দিয়েছে, যা গ্রাহক সংখ্যার ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। তারানা হালিম বলেন, ভুয়া এনআইডি দিয়ে সিম তোলা এবং এক এনআইডি দেখিয়ে বহু সিম কেনার আরও বেশকিছু ঘটনা নিবন্ধন যাচাই করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। ৩টি এনআইডি পাওয়া গেছে, যেগুলোর বিপরীতে ১১ হাজার ৮৬৬, ১১ হাজার ৩২৮ ও ৬ হাজার ১৭৯টি সিমের নিবন্ধন হয়েছে।

এর মধ্যে বিভিন্ন অপারেটরের সিম রয়েছে। এক পরিচয়পত্রে একজন গ্রাহক বৈধভাবে ক’টি পর্যন্ত সিম রাখতে পারবেন- এমন প্রশ্নে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেন, আগে দেখতে চাই, চাহিদা কতোটা। কর্পোরেট প্রয়োজনীয়তায় অনেক সময় একাধিক সিম রাখেন কেউ কেউ। কিন্তু ৬ হাজার তো কোনভাবেই থাকতে পারে না। এক এনআইডি ব্যবহার করে এতো সিম কিভাবে হলো, তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়।
দুই পদ্ধতিতে যাচাই-বাছাই: সিম নিবন্ধনের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া হবে দুই পদ্ধতিতে।

এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৫ই অক্টোবর থেকে এসএমএস পাবেন গ্রাহকরা। ২০১২ সালের আগে যেসব সিমের নিবন্ধন হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া, মোবাইল অপারেটররা সেসব গ্রাহককে এসএমএস পাঠাবেন। আইডি নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে চাইবেন। একটি কোড থাকবে। গ্রাহকদের দেয়া তথ্য অপারেটররা পাঠাবেন এনআইডিতে। সেখানে হবে যাচাই-বাছাই, এরপর চূড়ান্ত নিবন্ধন। আরেকটি পদ্ধতিও থাকবে। একটি  কোডসহ অন্য এসএমএসে যেকোন সময়ের গ্রাহকই চাইলে নিজের সিমের তথ্য যাচাই করে নিতে পারবেন। তার সিমটি আর কোথাও কেউ নিবন্ধন করেছে কিনা সেটিও নিজের নিরাপত্তার জন্য জেনে নেয়া যাবে। বৈঠকে মোবাইল অপারেটররা জানিয়েছে, এনআইডিতে তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ না থাকায় এক এনআইডিতে একাধিক সিম নিবন্ধন হয়েছে।

এক্ষেত্রে তাদের কিছুই করার ছিলো না। প্রতিমন্ত্রী তাদের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে বলেন, ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে। দ্রুতই এ সংক্রান্ত চুক্তি হবে। এরপর সকল অপারেটর এনআইডি’র তথ্য কাজে লাগাতে পারবেন। আগামীতে ভুয়া নিবন্ধনের সকল পথ বন্ধ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সিম কিনতে লাগবে আঙ্গুলের ছাপ: আগামী নভেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক ডেটা (আঙ্গুলের ছাপ) নিয়ে সিম নিবন্ধনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। মোবাইল অপারেটররা নিজেদের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে এ পদ্ধতি চালু করবে। ১৬ই ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তা কার্যকর করা হবে।

টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, এটি গ্রাহকদের জন্য সতর্কবার্তা। সঠিকভাবে নিবন্ধন করতে হবে। সচেতন গ্রাহকরা নিজ উদ্যোগে এখানে এসে নিজ নিজ সিমের নিবন্ধন করতে পারবেন। তথ্যগুলোও যাচাই-বাছাই করতে পারবেন। তিনি জানান, চূড়ান্তভাবে এ পদ্ধতি শুরু হলে প্রাধান্য পাবে ফেক আইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনকারীরা এবং সঠিক এনআইডির বিপরীতে অস্বাভাবিকভাবে সিম নিবন্ধনকারীরা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এভাবে নিশ্চিত হতে পারবো সিমগুলো সঠিক মালিকই ব্যবহার করছেন। এ সম্পর্কিত তথ্যগুলো এনআইডি, মোবাইল অপারেটর ও কিছু ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ে থাকবে। তিনি বলেন, সামনে আরও কর্মযজ্ঞ হাতে নেবো। মানুষকে সচেতন করবো। অসচেতনতার দায়ভার নিয়ে চললে চলবে না। ব্লেইম গেম আর নয়। ডিসেম্বরের মধ্যে সবাইকে নিজের নিরাপত্তায় নিশ্চিন্ত হতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন- এমন করেই প্রচারণা চালানো হবে। তারপরও না করলে শেষ পর্যায় পর্যন্ত সুযোগ দিতে চাই।

অপর প্রশ্নের জবাবে বলেন, বৈধভাবেই অনেকে একাধিক সিম রাখেন, তাদেরও সুযোগ দিতে চাই। এরপরও না হলে বাধ্য হয়ে অকার্যকর করে দেয়া হবে সিম। এখন অনেক লোকবল দিয়েও যদি অপারেটররা কাজ সারতে চান, তাহলে তাদের সময় তো দিতে হবে। তিনি বলেন, কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন একটি অবৈধ সিমের জন্যও ভোগান্তিতে না পড়েন, তাই এ উদ্যোগ।-এমজমিন
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে