এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে নির্বাচনি আমেজ। প্রার্থীরা নানান প্রতিশ্রুতি ও অভিযোগ-প্রত্যাশা তুলে ধরছেন শিক্ষার্থীদের সামনে। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ, ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রশ্ন এমনকি প্রার্থিতা বাতিল নিয়ে বিতর্ক সব মিলিয়ে ক্যাম্পাসে নির্বাচনি উত্তেজনা তুঙ্গে।
এদিকে মেধা ও কাজের মাধ্যমে মোকাবিলা করতে না পেরে প্রতিপক্ষ প্রোপাগান্ডা ও নারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষার্থী ঐক্যজোটের এই ভিপি প্রার্থী। এ সময় তিনি বলেন প্রতিযোগিতা ও যোগ্যতায় পিছিয়ে পড়ে বিভিন্ন ধরনের আক্রমণ করা হচ্ছে। কাদা ছোড়াছুড়ি না করে মেধার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। একই সঙ্গে তিনি নারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিংয়ের নিন্দা জানান।
সাদিক কায়েম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা। সেই জ্ঞান বৃদ্ধির অন্যতম কেন্দ্র হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে করুণ অবস্থায় রয়েছে এই লাইব্রেরি। উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় লাইব্রেরি ও গবেষণা খাতে সবচেয়ে বেশি বাজেট বরাদ্দ থাকে অথচ আমাদের দেশে উল্টো চিত্র। এখানে লাইব্রেরি ও গবেষণার জন্য বরাদ্দ মাত্র ২ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আসন সংকট রয়েছে। বই হলে বা বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর্কাইভ সেকশনে প্রবেশের ক্ষেত্রেও রয়েছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। বিশ্বের বড় বড় লাইব্রেরিতে যে আধুনিক সুবিধা রয়েছে, আমরা নির্বাচিত হলে সেসব সুবিধা চালু করব ইনশাল্লাহ।
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে যে আহ্বান জানালেন ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েমডাকসু নির্বাচন ঘিরে যে আহ্বান জানালেন ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম
অভিযোগ তুলে সাদিক কায়েম বলেন, নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। আচরণবিধি ভঙ্গ করে অনেকে রঙিন প্রিন্ট পোস্টার ব্যবহার করে প্রচার চালাচ্ছে। অথচ এখনো সেগুলো সরানো হয়নি। আবার নারী ভোটার তালিকায় যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে কেউ প্রবেশ করতে না পারে, এমন নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। যারা পর্দা করে বা চেহারা প্রকাশ করতে চায় না, তাদের সমস্যার সমাধানও প্রশাসন করেনি। বলা হচ্ছে, ভিসি নাকি চাপ অনুভব করছেন। আমরা এ নিয়ে গভীর আশঙ্কা প্রকাশ করছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অনলাইন ও অফলাইনে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু প্রার্থী নিজেদের কর্মসূচি বা দিকনির্দেশনা না দিয়ে শুধু আমাদের কেন ভোট দেওয়া উচিত নয়, সেটি প্রচার করছে। আমরা মনে করি, এটি স্পষ্টভাবেই আচরণবিধির গুরুতর লঙ্ঘন।