মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৩০:৫৭

পুলিশের সঙ্গে আধা ঘণ্টা ধরে ব্যাপক গোলাগুলি

পুলিশের সঙ্গে আধা ঘণ্টা ধরে ব্যাপক গোলাগুলি

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গুয়াগাছিয়ায় পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পের টহলরত পুলিশের সঙ্গে জলদস্যুতের ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৫-৬টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নিয়ে নদীতে মহড়া শুরু করে নৌ-ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের সদস্যরা। এসময় টহলরত পুলিশের স্পিডবোট দেখে প্রথমে ৪-৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরবর্তীতে ট্রলার থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে দস্যু দলের সদস্যরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
 
এ সময় ডাকাতরা প্রায় ১০০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশের পক্ষ থেকেও ২০ রাউন্ডের বেশি গুলি ছোড়া হয়। আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে বিকেল পৌনে ৬টার দিকে ট্রলার নিয়ে মতলবের দিকে চলে যায় হামলাকারী।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ।

তিনি বলেন, ‘পিয়াসের নেতৃত্বে ৫-৬টি ট্রলার নিয়ে অন্তত ৩০-৩৫ জন ডাকাত পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় জলদস্যুরদের পক্ষ থেকে ৪/৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরিস্থিতি আচ করতে পেরে আমরাও পজিশন ঠিক করে গুলি করতে থাকি। আমাদের দিক থেকে ২৪ রাউন্ডের মতো গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। আমাদের কোনো পুলিশ সদস্য আহত হননি। তবে কোনো সন্ত্রাসী আহত হয়েছে কিনা তা আমি বলতে পারব না।’

মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, ‘নৌ ডাকাতরা সম্ভবত চাঁদা তোলার উদ্দেশ্যে নদীতে নেমেছিল। পুলিশ থাকার কারণে তারা সুবিধা করতে পারেনি। উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। আমাদের কোনো পুলিশ সদস্য আহত হননি। নৌ ডাকাতের মধ্যে কেউ আহত হয়েছেন কিনা আপনারা খবর নিয়ে দেখেন। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামনে আরও কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে