এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকার ও সেনাবাহিনী কাদের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনাকে ‘মব ভায়োলেন্স’ আখ্যা দিয়ে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এ ধরনের অবস্থান দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
সেনাবাহিনীর উচিত অবিলম্বে বিবৃতি প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়া। রোববার রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, নুরের ওপর হামলার খবর আমরা চীন থেকে শুনে উদ্বিগ্ন হয়েছি। জুলাই অভ্যুত্থানের পর এমন ঘটনা আমরা কল্পনাও করিনি। এই হামলা শুধু দুঃখজনক নয়-এটা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা ফ্যাসিবাদবিরোধী নেতার ওপর এমন হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এনসিপি প্রধান বলেন, হামলার আগে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নুরকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং ১০ মিনিটের মধ্যেই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। সেনাবাহিনী যদি একটি রাজনৈতিক দলকে বাঁচাতে গিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী নেতাকে আক্রমণ করে-তাহলে সেটি কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।
নাহিদ আরও বলেন, সেনাবাহিনী প্রথমে দুঃখ প্রকাশ করলেই বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখা যেত। কিন্তু আইএসপিআর বিবৃতি দিয়ে হামলাকে মব ভায়োলেন্স বলেছে। এটা ন্যক্কারজনক। সেনাবাহিনীর উচিত দ্রুত বিবৃতি প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়া এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটার নিশ্চয়তা দেওয়া।
জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি শুধু গত ১৬ বছর দালালি করেনি, তারা ৯০-এর পরাজিত শক্তি। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হলে জনগণ তা প্রতিহত করবে। বাংলাদেশের মাটি থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিতাড়িত করা হবে। এ সময় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, নুর ভাইয়ের ওপর হামলা অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য একটি অশনিসংকেত।
জনগণ যে ত্যাগের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শাসন উৎখাত করেছে- তার বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা এই ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই মেনে নেব না। এ এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম সদস্য সচিব মশিউর রহমান, জয়নাল আবেদীন শিশির, সংগঠক নাহিদ উদ্দিন তারেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।