এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জামালপুরে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুটুক্তির মানহানি মামলায় এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
সোমবার দুপুরে সরিষাবাড়ী আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা আক্তার ডা. মুরাদ হাসানসহ দুইজন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, তথ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন এক ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজের টক-শোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান। অসৎ উদ্দেশ্যে এই মিথ্যাচার, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে তারেক রহমান ও জাইমা রহমান তথা জিয়া পরিবারের দশ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় জামালপুর জেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরী মালিক সমিতির সহ সভাপতি ও সাবেক ছাত্রদল নেতা লায়ন মো. রুমেল সরকার বাদী হয়ে মামলটি দায়ের করেন। মামলায় ডা. মুরাদ হাসান ছাড়াও টক-শোর উপস্থাপক চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর এলাকার এটিএম আবুল কাশেমের ছেলে মহি উদ্দিন হেলাল নাহিদকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান জানান, গত ২৪ মে সরিষাবাড়ী আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুকসানা পারভীন ১০ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলাটি আমলে নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান ও মহি উদ্দিন হেলালের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিলেন। আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় মানহানি মামলায় ডা. মুরাদ হাসান ও অপর আসামি মহি উদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।