এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : লোডশেডিংকয়েকটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কমেছে উৎপাদন। তাই দিনে দেড় হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। বড় অংশই ভোগাচ্ছে গ্রামাঞ্চলের গ্রাহকদের।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কয়েকদিন সময় লাগবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্বালানির অতিরিক্ত আমদানি নির্ভরতাই বিদ্যুৎ খাতের সংকটের মূল কারণ।
সম্প্রতি গরমের তীব্রতার সঙ্গে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। বিপরীতে কমেছে উৎপাদন। মঙ্গলবার রাত ১১টায় দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৬ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ ছিল ১৪ হাজার ৫৬৯ মেগাওয়াট। সেসময় লোডশেডিং হয় ১ হাজার ৬৫৩ মেগাওয়াট।
মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট যান্ত্রিক ত্রুটিতে বন্ধ। আরেকটিতে মিলছে ২৫০-৬০ মেগাওয়াট। পটুয়াখালি, রামপাল কেন্দ্র থেকেও কয়লার অভাবে মিলছেনা চাহিদামত বিদ্যুৎ। ভারতের আদানির সরবরাহ অর্ধেকে নেমেছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো–উৎপাদন) সদস্য মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, দুই তিনদিনের মধ্যে হয়তো রিকভার করবে। রামপালেরটা পথে আছে, মাতারবাড়িটা দেরি হবে। ভারত থেকে লোড কমেছে। আদানিরটা কমেছে। তারা সক্রিয় হলে সমাধানা মিটে যাবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে, ঢাকা বিভাগে চাহিদার তুলনায় ৫ শতাংশ বিদ্যুৎ কম পাচ্ছে। ময়মনসিংহে লোডশেডিং ১৪ ভাগ। সিলেটে ১৮, রংপুরে ১২ এবং কুমিল্লায় ১৪ ভাগ লোডশেডিং হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরাই বেশি ভোগান্তিতে। লোডশেডিং বিড়ম্বনার জন্য নবায়নযোগ্য উৎসের বিদ্যুতের অভাব, জ্বালানি সরবরাহে ঘাটতি বড় কারণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শফিকুল আলম বলেন, বিদ্যুতখাতের আমদানি নির্ভরতা ৬৫ শতাংশের মতো। এই অবস্থা থেকে আমাদের নিজস্ব নির্ভরতা বাড়াতে হবে। জ্বালানি দক্ষতা বাড়াতে হবে। অপচয় কমাতে হবে। এ ছাড়া তেলের ব্যবহারটাও কমাতে হবে।
দেশে মোট ১৩৩ বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিডভিত্তিক উৎপাদন সক্ষমতা ২৮ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু জলবিদ্যুৎ, সৌর-বায়ু বিদ্যুতের মত নবায়নযোগ্য উৎসের সক্ষমতা ১ হাজার মেগাওয়াটের কম।