এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মিঞা মো. নূরুল হক বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে এবতেদায়িতে মিড ডে মিল এবং উপবৃত্তি চালু করা হবে। এ ছাড়া পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ বছর থেকেই বৃত্তি পরীক্ষা দিতে পারবে।
তিনি বলেন, মাদ্রাসায় বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা হয়েছে, আগামী সেশন থেকে ব্যবসায় শিক্ষাও চালু করা হবে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদরের ভবানীগঞ্জ কারামতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার নবনির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন ও মাদ্রাসা শিক্ষার মানোন্নয়নে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
চেয়ারম্যান মিঞা মো. নূরুল হক বলেন, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার জন্য বিগত সময়ে যে শর্ত দিয়ে আইনের বেড়াজালে সংকুচিত করা হয়েছে, আমরা সেটি সম্প্রসারিত করছি। মাদ্রাসা স্থাপন, পাঠদান অনুমতির শর্তগুলো আমরা শিথিল করেছি। আমাদের সন্তানরা দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানুষ হোক আমরা বেশি বেশি চাই।
তিনি আরও বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার সিলেবাসের মধ্যে যেসব সমস্যা আছে, সে সমস্যাগুলো আমরা সমাধান করার জন্য চেষ্টা করছি। যোগ্য আলেম তৈরির জন্য যে ব্যবস্থা করার দরকার, সেটি আমরা করব। মাদ্রাসার মৌলিক শিক্ষার যেখানে পরিবর্তন হয়েছে, সেটাকে আমরা আগের জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। যাতে যোগ্য আলেম তৈরি হয়।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষায় যারা শিক্ষিত হন, তাদের অন্তরে থাকে আল্লাহর ওহি জ্ঞান, রাসুলের সুন্নাহর জ্ঞান। তারা হয় মানবিক, তারা হয় ভদ্র। তারা হয় শান্ত, তারা হয় দেশপ্রেমিক। এ জন্য তারা কোনো অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত হয় না। তার প্রমাণ বিগত সময়ে এ দেশ থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। টাকা পাচারের সঙ্গে কোনো আলেম-ওলামা জড়িত ছিল না, কোনো মাদ্রাসার শিক্ষিত লোক জড়িত ছিল না।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় এদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য যাবতীয় আয়োজন করা হয়েছে। এদেশের আলেম ওলামাদের, মাদ্রাসা শিক্ষিত লোকদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা ও অপমান করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে ঘুরিয়েছে। অন্যায়ভাবে তাদেরকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য ছিল জাতির মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করা, যাতে কেউ মাদ্রাসায় পড়াশোনা না করে।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে মিঞা মো. নূরুল হক বলেন, বিগত সময়ে মাদ্রাসার শিক্ষিত লোকদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সামাজিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। তারা ভালো রেজাল্ট করার পরও ভাইভা পরীক্ষায় যখন মাদ্রাসার সার্টিফিকেট দেখেছে তখন তাদের বঞ্চিত করেছে। সেই বঞ্চনা এবং বিরহের বিরুদ্ধেই ছিল সংগ্রাম।
ভবানীগঞ্জ কারামতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) কাজী হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম আবদুল্লাহ, কমলনগরের হাজিরহাট হামিদিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা জায়েদ হোসেন ফারুক প্রমুখ।