এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : প্রতিরক্ষা চুক্তিবাংলাদেশের সঙ্গে একটি বিশেষায়িত প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। চলতি বছরের মধ্যেই চুক্তি সইয়ের প্রাথমিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং যৌথ গবেষণার মাধ্যমে দুই দেশের কৌশলগত সহযোগিতার নতুন অধ্যায় সূচিত করবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস টোকিও সফর করেন। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিশেষ গুরুত্ব পায়। ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নীতিগতভাবে বাংলাদেশ ও জাপান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও সমরাস্ত্র বিনিময়–সংক্রান্ত চুক্তি সইয়ে সম্মত হয়েছে।
চুক্তির মূল উপাদানগুলো হলো:
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম হস্তান্তর: নৌ টহলযান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, নজরদারির প্রযুক্তি ও অপ্রাণঘাতী সামরিক সরঞ্জাম।
যৌথ গবেষণা: সাইবার নিরাপত্তা, স্যাটেলাইট প্রযুক্তি, উপকূলীয় নজরদারি ইত্যাদিতে সহযোগিতা।
কঠোর নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা: সরবরাহকৃত সমরাস্ত্র তৃতীয় কোনো দেশে হস্তান্তর করা যাবে না এবং ব্যবহারের ক্ষেত্র সীমিত থাকবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সাইবার প্রতিরক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে। তবে চীনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সমরাস্ত্র সম্পর্কের কারণে ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখা একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি জানান, সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানিতে নতুন নীতির পর বাংলাদেশসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে তাদের প্রতিষ্ঠান বাজার সম্প্রসারণে আগ্রহী। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) আ. ন. ম. মুনীরুজ্জামান বলেন, “চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ শুধু সমরাস্ত্র নয়, প্রযুক্তিগত সহায়তাও পাবে। এটি সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ।”
চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ–জাপান সম্পর্কের প্রতিরক্ষা খাতে নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত হবে, যা সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সাইবার প্রতিরক্ষা এবং কৌশলগত সহযোগিতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।