এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার ওপর বিশ্বাস রেখে প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বিশ্বাস ভঙ্গকারী সেই উপদেষ্টাদের নাম শিগগিরই তিনি প্রকাশ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর ড. ইউনূসের সরকারে যোগ দেন ছাত্র প্রতিনিধিরা। পরে নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করে হাল ধরেন তরুণদের দল এনসিপির। এখনও উপদেষ্টা পরিষদে আছেন দুই জন।
ছাত্রদের উপদেষ্টার আসনে বসাটা কি ভুল ছিলো-এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা কেউ উপদেষ্টা পরিষদে যেতে চাইনি। আমরা জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। তাহলে কিন্তু ছাত্রদের এই দায়িত্বটা করা লাগতো না। যদি রাজনৈতিক শক্তি ও অভুত্থ্যানের শক্তি এই সরকারে না থাকতো তাহলে এই সরকার তিন মাসও টিকতো না। সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা ও প্রতিবিপ্লব করার চেষ্টা চলমান ছিল প্রথম ছয় মাস। এবং এখনো মাঝে মাঝে আছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের এবং যারা উপদেষ্টা হয়েছেন তাদের বিশ্বাস করাটা অবশ্যই আমাদের ভুল ছিল। আমাদের উচিত ছিল ছাত্র নেতৃত্বকেই শক্তিশালী করা। সরকারে গেলে সম্মিলিতভাবে যাওয়া। নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলকে আমরা যে বিশ্বাসটা করেছিলাম সেই জায়গায় আমরা প্রতারিত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, অনেক উপদেষ্টাই নিজেদের আখের গুছিয়েছে। তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। যখন সময় আসবে তাদের নামও আমরা প্রকাশ করবো।
উপদেষ্টারা অনেকেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াঁজো করে রেখেছে দাবি করে নাহিদ বলেন, তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের কথা ভাবতেছে। এটা আমাদের অনেক পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু তারা যদি বিশ্বাস করতো তাদের নিয়োগকর্তা ছিল গণঅভ্যুত্থানের শক্তি, সাধারণ মানুষজন, যারা রাজপথে নেমেছিল, জীবন দিতে গিয়েছিল, তাদের ওপর বিশ্বাস করতো তাদের তাদের এই বিচ্যুতি হতো না। নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ৫ই আগস্ট ক্যান্টনমেন্টে ‘সেজদা’ দিয়েছে রাজনৈতিক নেতারা, ছাত্ররা নয়।