এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তারাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের আগে যারা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারা এনসিপিতে যোগ দিতে পারবেন না। তবে অন্য যেকোনো দলের ভালো মানুষদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময় খোলা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর পরিবাগে আবু সাইদ কনভেনশন হলে এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, অন্য দলের যেকোনো ভালো মানুষদের জন্য এনসিপির দরজা খোলা। যদি এনসিপি জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে পারে, তাহলে দুই বছর পর এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য দলে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, যদি কেউ ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য পূরণের জন্য এনসিপিতে আসে, তাহলে এ দল তাদের জন্য নয়। তাদের আগের জায়গায় ফিরে যেতে হবে। দলটি তার নিজস্ব আদর্শ অনুযায়ী চলবে বলেও জানান তিনি।
সারিজস বলেন, কেউ যেন নিজের উন্নতির জন্য অন্য কাউকে টেনে না ধরে। এনসিপির মধ্যে কখনো কেউ কাউকে টেনে ধরা বা অভিযোগ করার প্রবণতা দেখা যায়। এসব নেতিবাচক আচরণ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এনসিপি বাংলাদেশে ৪৬ নম্বর রাজনৈতিক দল হতে আসেনি। আমরা হয় জনগণের হয়ে সরকারি দল হিসেবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করব, না হয় শক্তিশালী বিরোধী দল হব। জাতীয় পার্টির মতো পোষা বিরোধী দল হতেও আমরা আসিনি। আগামীকাল শনিবার থেকে এনসিপি জেলা ও মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা শুরু করবে। আজ থেকে তিনদিনের মধ্যে এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হবে।
সারজিস আরও বলেন, ১৫ নভেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করতে হবে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ডে এনসিপির আহ্বায়ক কমিটি থাকতে হবে। যদি আমরা এটি সম্পন্ন করতে পারি, তাহলে আগামী সংসদ নির্বাচনে এনসিপি দেশের শক্তিশালী দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে একটি হিসেবে অংশগ্রহণ করবে বলেও দাবি করেন তিনি।
এনসিপির এ সমন্বয় সভায় দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ (দক্ষিণাঞ্চল), জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেন।