এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে নবগঠিত পে কমিশন। এ নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন ইতোমধ্যেই নিজেদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে কমিশনের কাছে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের প্রস্তাবে সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং বর্তমান ২০টি গ্রেড কমিয়ে ১২টিতে নামিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র আব্দুল মালেক বলেন, সর্বশেষ পে স্কেল দেওয়া হয়েছিল ২০১৫ সালে। নিয়ম অনুযায়ী ২০২০ সালে নতুন পে স্কেল হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। ফলে সরকারি কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যদি নিয়মিত হতো, তাহলে ২০২০ সালে বেতন দ্বিগুণ হতো এবং ২০২৫ সালে তা প্রায় ৩৩ হাজার টাকায় পৌঁছাত। তাই এবার বেতন কাঠামোতে যথাযথ সমন্বয় আনা জরুরি।
অন্যদিকে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার জানিয়েছেন, নতুন পে স্কেলের প্রস্তাব আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারের কাছে জমা দেওয়া হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা যে ইঙ্গিত পাচ্ছি, তাতে বেতন ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে তা ১০০ শতাংশ পর্যন্তও হতে পারে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বেতন-ভাতা দ্বিগুণ করা হলে সরকারের বছরে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে। গড়ে ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি হলে এ ব্যয় দাঁড়াতে পারে ৭০-৭৫ হাজার কোটি টাকায়, আর ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি হলে ব্যয় হবে ৬৫-৭০ হাজার কোটি টাকা।
নতুন পে স্কেলে শুধু বেতন নয়, ভাতা কাঠামোতেও বড় পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা আছে। লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় জীবনযাত্রার মান সমন্বয় এবং সরকারি কর্মচারীদের ক্রয়ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করা।