বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:১২:৩১

‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান

‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান

নিউজ ডেস্ক : মঙ্গলবার শুরু হয়েছে পবিত্র হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা। লাখ লাখ হাজীর ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ (হাজির হে আল্লাহ, আমি হাজির) ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে আরাফাত ময়দান।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ৩০ লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান সোমবার সন্ধ্যায় মক্কা থেকে আরাফাতের  উদ্দেশে রওনা দেন। হজের অংশ হিসেবে বুধবার সকাল পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন।

মহান আল্লাহর নৈকট্যলাভের আশায় জিকির ও ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে সেখানে সময় কাটাবেন তারা। জামাতের সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবেন। জীবনের পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি চেয়ে মহান প্রভুর দরবারে কায়মনোবাক্যে মিনতি করবেন তারা।

বুধবার ফজরের পর মিনা থেকে পায়ে হেঁটে রওনা দেবেন আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে। ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাতের ময়দানে অবস্থানই হজের সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ।

সেখানে হজের খুতবা শুনবেন এবং এক আজানে জোহর ও আসরের (জুহরাইন) নামাজ আদায় করবেন।

সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের পর মুজদালিফার উদ্দেশে আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে আবারো এক আজানে আদায় করবেন মাগরিব ও এশার নামাজ। রাতে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করবেন।

মুজদালিফায় রাত্রিযাপন করে ফজরের নামাজের পর ফের মিনায় ফিরবেন মুসল্লিরা। মিনায় ফিরে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পশু কোরবানি করার পর মাথা মুণ্ডন করবেন।

এদিন সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে যাওয়ার পর (যোহরের নামাজের পর) বড় জামারাতে (প্রতীকী শয়তান) সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন।

এভাবে পরপর তিনদিন তিন জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ শেষে মক্কায় ফেরা। এরপর পবিত্র কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ করে হজের পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন।

এদিকে হাজীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। তিনি হজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের এই নির্দেশ প্রদান করেন।

বাদশাহ বলেন, ‘হাজীদের সেবা করা সৌদি আরব ও সৌদি আরবের জনগণের জন্য একটি সম্মানের বিষয়।’

এ ছাড়াও আরাফাত, মিনা ও মুজদালিফায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় এক লাখ বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী ও সহস্রাধিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নকর্মী। আর হাজীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে ২৫টি হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এদিকে কোরবানির পশু জবাই ও সংরক্ষণের জন্য মক্কার পৌরসভার একটি টিম বিশেষভাবে প্রস্তুত রয়েছে।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে