এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : স্বপ্নদোষ! ঘুমের মধ্যে অনেকেরই বীর্যপাত হয় তাকেই স্বপ্নদোষ বলে। এটি হয়নি, এমন ছেলে-মেয়ে খুঁজে পাওয়া ভার। এনিয়ে অনেকের মধ্যেই নানারকম ভুল ধারণা আছে। বিশেষ এই সমস্যা নিয়ে অনেকে লজ্জায় মুখও খুলতে পারে না।
তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এটি সম্পূর্ণ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিশোর বয়সে এটি বেশি হয় এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমেও যায়। শুধু ছেলেরাই নয় মেয়েরাও এ সমস্যায় মুখোমুখি হয়। স্বপ্নদোষ নিয়ে কথা বলেছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসক এবং সহায় হেলথের সহপ্রতিষ্ঠাতা ডা. তাসনিম জারা।
স্বপ্নদোষ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সাধারণ মানুষের মধ্যে এনিয়ে অনেক রকমের ধারণা প্রচলিত আছে। এ কারণে সবাই দুশ্চিন্তা করেন। কিন্তু এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। এতে লজ্জার কিছু নেই। এতে অপরাধবোধেরও কিছু নেই। স্বপ্নদোষ সাধারণত কিশোরকালীন বয়সে শুরু হয়। তবে, কারোর তা ৯-১০ বছর বয়সেও প্রথম হতে পারে। কিশোরকালীন সময়ে এটা বেশি হয়। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে আসে।
তিনি বলেন, স্বপ্নদোষ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সাধারণ মানুষের মধ্যে এনিয়ে অনেক রকমের ধারণা প্রচলিত আছে। এ কারণে সবাই দুশ্চিন্তা করেন। কিন্তু এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার।
স্বপ্নদোষ কী?
তাসনিম জারা বলেন, ঘুমের মধ্যে অনেকেরই বীর্যপাত হয়। সাধারণভাবে এটাকেই বলা হয় স্বপ্নদোষ বা স্বপ্নস্খলন।
অনেকেই মনে করেন, স্বপ্নদোষ হয় শুধুমাত্র ছেলেদের এবং মেয়েদের তা হয় না। এটাও ভুল ধারণা।
তাসনিম জানান, স্বপ্নদোষ ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের হতে পারে। কিশোর বয়সেই তা বেশি হয়। মেয়েদের স্বপ্নদোষ হলে তার যোনিপথ ভেজা ভেজা মনে হতে পারে।
অনেকেই জানতে চান, স্বপ্নদোষ হওয়া স্বাভাবিক কী না তা নিয়েও।
তাসনিম জারা বলেন, এটা সম্পূর্ণ একটা স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। এতে লজ্জার কিছু নেই। এতে অপরাধবোধেরও কিছু নেই।
তিনি বলেন, স্বপ্নদোষ সাধারণত কিশোরকালীন বয়সে শুরু হয়। তবে, কারোর তা ৯-১০ বছর বয়সেও প্রথম হতে পারে।
তাসনিম জারা বলেন, কিশোরকালীন সময়ে এটা বেশি হয়। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে আসে।
অনেকেই জানতে চান, কত ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হওয়া স্বাভাবিক এবং কতবার হলে তা অতিরিক্ত?
তাসনিম জারা জানান, এর কোনো ধরা বাঁধা নিয়ম নেই। কারোর সপ্তাহে দুবার হয়, আবার কারোর মাসে একবার হয়। আর কিছু মানুষের সারা জীবনে একবারও স্বপ্নদোষ হয় না।
তিনি বলেন, কোনটাই অস্বাভাবিক নয়। অনেকের মধ্যে এমন ধারণা প্রচলিত আছে যে ঘনঘন স্বপ্নদোষ হলে শরীর দুর্বল হয়, শক্তি চলে যায়, শারীরিক বৃদ্ধি ভালো হয় না।, আর কেউ কেউ এটাকে অসুস্থতা বলে মনে করেন। কিন্তু এসব ধারণার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
এটি একটি স্বাভাবিক পরিবর্তন; দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে উল্লেখ করেছেন তাসনিম।
তিনি বলেন, এর জন্য শরীর দুর্বল হয় না বা ভেঙে পড়ে না। এটা অসুস্থতার লক্ষণও নয়। এটা সম্পূর্ণ একটা শারীরিক প্রক্রিয়া। কিশোর বয়সে শরীরে যে পরিবর্তন দেখা দেয়, এটা সেই রকম একটা স্বাভাবিক পরিবর্তন। এর মধ্যে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
তবে এ নিয়ে কারোর দুশ্চিন্তা থাকলে তাকে একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞর কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাসনিম।
তিনি বলেন, একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ উপযুক্ত পরামর্শ দিতে পারবেন এবং দুর্বলতা দূর করার বিভিন্ন উপকারী টেকনিক শিখিয়ে দিতে পারবেন।