এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় আজ সোমবার ঘোষণা করা হবে। গণ-অভ্যুত্থান-সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম, যার রায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ঘোষণা করা হবে।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল—যার অন্য দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী—সকালেই এ রায় ঘোষণা করবেন। রায় ঘোষণার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারেরও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এই মামলার প্রধান আসামি ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা। অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনজনের মধ্যে হাসিনা ও আসাদুজ্জামান বর্তমানে ভারত অবস্থানরত এবং পলাতক হিসেবে চিহ্নিত।
ইতোমধ্যে এই মামলার রাজসাক্ষী ও মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
এদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নিয়ম অনুযায়ী ত্রিশ দিন বা এক মাসের মধ্যে গ্রেফতার আসামিরা আপিল আবেদন করতে পারবেন।
এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষও আপিল বিভাগে যেতে পারবে। কিন্তু পলাতক আসামিদের বিষয়ে কী হবে বা আইনের বিধান কী এমন প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম বলেন, এ মামলার যেসব আসামি পলাতক আছেন, তারা গ্রেফতার হওয়া ছাড়া আপিল বিভাগে আপিল করতে পারবেন না।
মামলার প্রধান আসামি একজন নারী। নারী হওয়ার কারণে শেখ হাসিনা আইনে বিশেষ কোনো সুবিধা তিনি পাবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিআরপিসিতে জামিন প্রদানের ক্ষেত্রে নারী, অসুস্থ, কিশোর, বালক, শিশুদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কিন্তু রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে নারীকে সাধারণ আইনেও কোনো আলাদা প্রিভিলেজ (অগ্রাধিকার) দেওয়া হয় না। ট্রাইব্যুনাল আইনেও কোনো আলাদা প্রিভিলেজ নেই। অতএব, রায় প্রদানের ক্ষেত্রে আসামি নারী হোক, পুরুষ হোক, তিনি তার অবস্থানে থেকে কী অপরাধ করেছেন, সেই অপরাধের গ্র্যাভিটি বিবেচনা করে শাস্তি প্রদান করা হবে বা মামলা প্রমাণ না হলে খালাস প্রদান করা হবে।