সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ০১:০২:৩৫

একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি, শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট সপরিবারে হারিয়ে গেছেন!

একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি, শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট সপরিবারে হারিয়ে গেছেন!

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি। একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি। আমাদের হাসিনা খালা (শেখ হাসিনা) গত ৫ আগস্ট সপরিবারে হারিয়ে গেছেন। যদি কোনো সৎ-হৃদয়বান ব্যক্তি তার সন্ধান পান, তবে তাকে হাইকোর্টের ফাঁসির মঞ্চে পৌঁছে দেবেন। একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি। একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি...

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় এমনই মাইকিং করতে শোনা যায়। এলাকায় কোনো ব্যক্তি বা শিশু হারিয়ে গেলে যেভাবে মাইকিং করতে শোনা যায়, তারই অনুকরণে আদালত চত্বরে এ মাইকিং করা হয়।

শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত এলাকায় জড়ো হন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সেখানে সবাই শেখ হাসিনার সাজার রায়ের অপেক্ষায়।  

এদিন নাশকতাসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় রাজধানীজুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল থেকে নগরীতে যান চালচল স্বাভাবিক রয়েছে। ব্যক্তিগত যানবাহনের পাশাপাশি গণপরিবহণগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে।    

এ মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পতিত আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘লকডাউন কর্মসূচির’ কোনো প্রভাব সকাল ১০টা পর্যন্ত রাজধানীতে দেখা যায়নি। এদিন আওয়ামী লীগের কর্মসূচি মোকাবিলায় জামায়াতসহ আটটি ইসলামিক দল মাঠে থাকার কথা জানিয়েছে।

 সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। এ মামলার রায় ঘোষণা বিটিভিসহ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করার কথা রয়েছে।

২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভে প্রায় এক হাজার ৪০০ মানুষের প্রাণহানি এবং প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে মারাত্মক আহত করার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়। গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) আলোচিত এই মামলার রায়ের দিন ধার্য‍্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

 এই মামলায় বিচারের জন‍্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পাঁচটি অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়। বিচার চলাকালে মোট ৫৪ সাক্ষীর সাক্ষ‍্যগ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি দেশি-বিদেশি গণমাধ‍্যমে জুলাই-আগস্ট হত‍্যাকাণ্ড নিয়ে প্রকাশিত অডিও, ভিডিও ও অন‍্যান‍্য প্রমাণ আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হয়। তবে মামলার আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী (অ‍্যাপ্রুভার) হয়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করে অন‍্য আসামিদের সব অপরাধের বর্ণনা দেন। 

এ মামলায় সাক্ষীরা হলেন জুলাই অভ‍্যুত্থানে মারাত্মক আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ, পুলিশের গুলিতে আহত আব্দুল্লাহ আল ইমরান, পুলিশের গুলিতে চোখ হারানো দিনমজুর পারভীন, রংপুরের এনটিভির সাংবাদিক এ কে এম মঈনুল হক, রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিনা মুর্মু, শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের বড় ভাই রবিউল হাসান, ইবনে সিনা হাসপাতালের ডা. হাসানুল বান্না, শহীদ মেহেদী হাসান জুনায়েদের মা সোনিয়া জামাল, ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের নিউরোট্রমা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মাহফুজুর রহমান, রংপুরে পুলিশের গুলিতে শহীদ আবু সাঈদের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনকারী চিকিৎসক ডা. রাজিবুল ইসলাম, রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেটিনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা নীলা, জুলাই আন্দোলনে শহীদ মারুফ হোসেনের বাবা মো. ইদ্রিস, সাংবাদিক মোহিদ হোসেন, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান, জুলাই আন্দোলনের ১ নম্বর সমন্বয়ক ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, শহীদ মাহামুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী।

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে