এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : দুই দিনের ব্যবধানে ঢাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর জন্য সরবরাহ ঘাটতিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের ভাষ্য, যেসব জেলা থেকে পেঁয়াজ আসে সেখানে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামের এই ঊর্ধ্বগতি।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, ইব্রাহিমপুর, কচুখেত ও ভাসানটেকসহ বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১৪০–১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুদিন আগে ছিল ১১০-১২০ টাকা।
এদিন কাজীপাড়া কিচেন মার্কেটে বাজার করতে আসা একজন বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, এক কেজি পেঁয়াজের দাম ১৬০ টাকা শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। ভেবেছিলাম ভুল শুনেছি। পরে বুঝলাম ঠিকই বলেছে। চারটি দোকান ঘুরেও দেখলাম সব জায়গায় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দুই দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে যাওয়া অসম্ভব। বাজারে নিশ্চয়ই কিছু হচ্ছে। সরকারকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানান, পেঁয়াজের দাম শুনে অনেক ক্রেতাই হতবাক হয়েছেন। কেউ কেউ আবার তর্কে জড়িয়েছেন।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সজীব শেখ বলেন, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও পাবনার হাটে দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। এ কারণে আমরা কেজিপ্রতি ১৩৮-১৪৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ফরিদপুর হাটে ৮০ বস্তা পেঁয়াজ কেনার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম। কিন্তু সরবরাহ কম থাকায় মাত্র ২০ বস্তা কিনতে পেরেছি।
সজীব শেখ বলেন, নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলে এবং আমদানি শুরু হলে এক মাসের মধ্যে দাম কমে যাবে।
শ্যামবাজার পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আমদানিকারক মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ বলেন, এই সময়ে বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকায় দাম বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, দুই মাস ধরে আমরা পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা করছি, কিন্তু এখনো অনুমতি পাইনি। প্রতিবেশী দেশে পেঁয়াজের দাম বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ১০ টাকা। অনুমতি পেলে সব খরচ মিলিয়ে আমরা ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারতাম এবং বাজার স্বাভাবিক হয়ে যেত। আমাদের এখানে নতুন পেঁয়াজ আসতে আরও এক থেকে দেড় মাস লাগবে। এরপর হয়তো দাম স্বাভাবিক হবে।