শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:২৪:৫১

খালেদা জিয়াকে উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাংগাল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে

খালেদা জিয়াকে উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাংগাল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নিবসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাকে বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা নেই; এভারকেয়ার হাসপাতালেই চিকিৎসা চলবে।

বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তাকে বিদেশে নেওয়া হবে না এবং এভারকেয়ার হাসপাতালেই তার চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে।

মেডিক্যাল বোর্ডের একটি সূত্র গতকাল জানায়, দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড প্রতিদিন তার শারীরিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছে।

শরীরে গুরুতর ইনফেকশনের কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাংগাল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কিডনির কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাকে ডায়ালাইসিসে রাখা হয়েছে। গতকালও তার ডায়ালাইসিস করা হয়েছে বলে চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে।

চিকিৎসকরা তার অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি সমন্বয় করছেন।

গত কয়েক দিনের বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষায় তার স্বাস্থ্যে বেশ কিছু জটিলতা পরিলক্ষিত হয়। তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তাকে হাইফ্লো নজল ক্যানুলা এবং বিপাপ মেশিনের মাধ্যমে চিকিত্সা দেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তার ফুসফুস ও অন্যান্য অর্গানকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য তাকে ইলেক্টিভ ভেন্টিলেটর সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও ‘ডি আই সি’ এর ফল স্বরূপ তাকে রক্ত ও রক্তের বিভিন্ন উপাদান ট্রানফিউশন দিতে হচ্ছে। সব চিকিত্সার পরও জ্বর না কমার কারণে এবং পাশাপাশি রেগুলার কার্ডিওগ্রাফিতে এয়ারটিক ভালবে কিছু সমস্যা পরিলক্ষিত হওয়ায় টিইই করা হয় এবং সেখানে ইনফেকটিভ এনডোকারডিটিস ধরা পরে। তত্ক্ষণাত্ মেডিক্যাল বোর্ডের দেশি- বিদেশি চিকিত্সকদের পরামর্শক্রমে এ রোগের চিকিত্সা গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিত্সা শুরু করা হয়।

এদিকে জানা গেছে, দেশে ফেরার পর খালেদা জিয়ার বড় পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান বেশির ভাগ সময় হাসপাতালে শাশুড়ির শয্যাপাশে কাটাচ্ছেন। নিবিড়ভাবে শাশুড়ির স্বাস্থ্যের খোঁজখবর রাখছেন। চিকিত্সার বিষয়গুলোর তিনি সমন্বয় করেন। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। তখন তিনিও মায়ের পাশে থাকতে পারবেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে