ঢাকা : কোরবানির পশু এখন আলোচনার শীর্ষে। সবাই ভাবছেন কোরবানির পশু নিয়ে। সব কিছুতে ভেজাল, এক্ষেত্রে ভেজামুক্ত নেই কোরবানীর পশুও। ট্যাবলেট খাইয়ে মোটাতাজা করা গরু চেনা খুব সহজ, যদি চেনার বিষয়গুলো আপনার জানা থাকে। আসুন জেনে নিই ক্ষতিকারক ওষুধ খাওয়ানো মোটাতাজা গরু চেনার উপায়।
এক. ট্যাবলেট খাওয়ানো বা ইনজেকশন দেয়া গরু হবে খুব শান্ত। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারবে না। পশুর ঊরু অনেক মাংসল মনে হবে।
দুই. অতিরিক্ত হরমোনের কারণে পুরো শরীরে পানি জমে মোটা দেখাবে। আঙুল দিয়ে গরুর শরীরে চাপ দিলে সেখানে দেবে গিয়ে গর্ত হয়ে থাকবে। এগুলোই কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরু চেনার সহজ উপায়।
তিন. স্টেরয়েড ট্যাবলেট খাওয়ালে গরুর প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়, এর ফলে শরীরে পানি জমতে শুরু করে। ফলে গরু মোটাতাজা দেখায়। এ গরু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাই না করলে মারাও যেতে পারে, অথবা শরীরের মাংস কমে যেতে পারে।
তবে যাই হোক না কেন, এমন গরুর মাংস খাওয়া খুবই বিপদজ্জনক। কারণ ওই ওষুধ তীব্র তাপেও নষ্ট হয় না। ফলে মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে।
এ বিষয়ে পশু চিকিৎসক ডা. আজমত আলী বলেন, ‘অতিমাত্রায় হরমোন ব্যবহার করলে গরুর শরীরে ব্যাপক পানি জমে। এতে গরু মোটাতাজা দেখায়। কিন্তু গরুর কিডনি, লিভার ও পাকস্থলি নষ্ট হয়ে যায়।’
তিনি এও বলেন, কোরবানির ঈদের ২০ থেকে ২৫ দিন আগে অসাধু ব্যাপারীরা প্রতিটি গরুকে একত্রে ২০ থেকে ৩০টি পর্যন্ত ট্যাবলেট খাওয়ান। ইনজেকশনও দেয়া শুরু করেন। এতে গরু অতি দ্রুত মোটা হয়ে ওঠে। কিন্তু এসব পশু বেশি দিন বাঁচে না। অতিরিক্ত হরমোন খাওয়ানো গরুর মাংস আগুনেও হরমোনমুক্ত হয় না।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ