নিউজ ডেস্ক : বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধনে গ্রাহকের ভোগান্তি হচ্ছে কি না তা সরেজমিন দেখতে যান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এসময় নিজের ‘পরিচয় গোপন’ রেখে লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের সিম নিবন্ধন করেন তারানা হালিম।
রাজধানীর একটি গ্রাহক সেবাকেন্দ্র পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী তার নিজের একটি সিম নিবন্ধন করেন।
রোববার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটের গ্রামীণফোন সেন্টারে যান তিনি। তার আগে তিনি কেন্দ্রটির অদূরে গাড়ি থেকে নেমে আঁচল ও ফাইল দিয়ে মুখ ঢেকে হেঁটে কেন্দ্রটিতে প্রবেশ করেন।
সিম নিবন্ধনে আগত গ্রাহকদের লাইনে দাঁড়ান তিনি। এ সময় চারদিকে তাকিয়ে তিনি গ্রাহকদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন। নিজের পালা এলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা এবং আঙুলের ছাপ দিয়ে নিজের নামে ফোনটির নিবন্ধন সম্পন্ন করেন।
মুখ ঢেকে রাখায় এ সময় তাকে কেউ চিনতে পারেননি। গ্রামীণফোন সেন্টারের কর্মীরা জানান, তারা বুঝতে পারেননি মন্ত্রী সিম নিবন্ধন করতে এসেছেন।
সিম নিবন্ধন শেষে তারানা হালিম মুখের কাপড় সরিয়ে কেন্দ্রটির এক পাশে এসে দাঁড়ান। এ সময় গ্রাহকরা তার কাছে তাদের সমস্যার কথা জানান। একজন গ্রাহক অভিযোগ করেন, তার নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র এখনো পাননি। তিনি কীভাবে সিম নিবন্ধন করবেন?
প্রতিমন্ত্রী উত্তরে বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করলে একটি আবেদন নম্বর দেয়া হয়। সেটা দিয়ে আবেদন করা যাবে। তবে পরিচয়পত্রটি হাতে পাওয়ার পর আবারো নিবন্ধন করতে হবে।
তারানা হালিম জানান, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা আপাতত পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন সনদ বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি দিয়েও সিম নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে এটি অস্থায়ী। জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেলে আবারো সিম নিবন্ধন করতে হবে। বিদেশিদের সিম নিবন্ধনে জাতীয় পরিচয়পত্রের বদলে পাসপোর্ট ব্যবহার করে নিবন্ধন করা হবে।
তারানা হালিম গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমার ব্যক্তিগত সিম তিনটি। একটি সিম সঙ্গে ছিল। সেটিরই নিবন্ধন করতে পেরেছি। বাকি দুটো সিম আমার সঙ্গে না থাকায় নিবন্ধন করতে পারিনি। কেন্দ্রটিতে গ্রাহকদের সিম নিবন্ধনের প্রক্রিয়া দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
২৭ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম