নিউজ ডেস্ক : আদালত অবমাননায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে দণ্ড পাওয়ার পরদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকের শুরুতে বিভিন্ন টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সনদের সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজে দুই মন্ত্রীকে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
মার্চের শুরুতে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের আপিল মামলার রায় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন কামরুল ও মোজাম্মেল। ওই বক্তব্যের কারণে আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের সাজা দেয় আপিল বিভাগ।
দুইজনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, আদালত অবমাননার বিষয়ে দেশের জনগণকে একটি বার্তা পৌঁছে দিতেই দুই মন্ত্রীকে এ দণ্ড।
রায়ের পর এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি দুই মন্ত্রী। সরকারের পক্ষ থেকেও কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
তবে বিএনপির পক্ষ থেকে দণ্ডিত দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।
আইনজীবীদের এক পক্ষ বলেছেন, এই রায়ের কারণে দুই মন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব না থাকার কোনো বিধান সংবিধানে নেই। অন্য পক্ষের দাবি, ‘শপথ ভঙ্গের’ কারণে তারা মন্ত্রী থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
আর রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম বলছেন, বিষয়টি এখন নৈতিকতার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দণ্ড হওয়ার দুই দিন আগেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য দুই মন্ত্রীকে ‘ক্যাবিনেট ফোল্ডার’ দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, দণ্ডিত করে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পরেও দুই মন্ত্রীর কাছ থেকে ফোল্ডার ফেরত নেওয়া হয়নি। তাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই, আর তারা তো পদত্যাগও করেননি।
এদিকে জামায়াতের হরতালের কারণে রোববার সচিবালয়ের আশপাশে অন্যদিনের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
সচিবালয়ের সামনের এক পাশের রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। সচিবালয়ের আশপাশেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। -বিডিনিউজ
২৮ মার্চ ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস