সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১৬, ০২:২৮:০২

রিট খারিজ, ইসলামই থাকছে রাষ্ট্রধর্ম

রিট খারিজ, ইসলামই থাকছে রাষ্ট্রধর্ম

নিউজ ডেস্ক : সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে অন্তর্ভুর্ক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খরিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে বাংলাদেশর রাষ্ট্রধর্ম ইসলামই থাকছে।

রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে সোমবার এ আদেশ দেয়া হয়েছেন বিচারপতি নাঈমা হায়দার, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বৃহত্তর বেঞ্চ। এর আগে রিটের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

২৮ বছর আগে দায়ের করা এ রিটে বছর পাঁচেক আগে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। রিট আবেদনকারীদের বেশিরভাগ এরই মধ্যে মারা গেছেন। ১৯৮৮ সালের ৫ই জুন সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী পাস হয়। এর মাধ্যমে সংবিধানে অনুচ্ছেদ ২-এর পর ২(ক) যুক্ত করা হয়।

এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য ২৭ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছিল বলে আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন। তবে কার্যতালিকা অনুসারে ২৭ মার্চ নয়, ২৮ মার্চ আবেদনটির শুনানি হবে।

ওই দিন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত ২৭ ও ২৮ মার্চ শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন। এর আগে হাইকোর্ট ১৪ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগের আদেশটি প্রত্যাহার করেছেন। আগামী তারিখে নতুন করে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেয়া হতে পারে।’

২৮ বছর আগে করা ১৫ বিশিষ্টজনের করা একটি রিট আবেদনের ২৩ বছর পর রুলটি জারি করা হয়। আর রুল জারির প্রায় ৫ বছর পরে এসে এ রুল শুনানির দিন ধার্য হয়।

রিট মামলটি করা হয়েছিল ১৯৮৮ সালে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভুক্তির বিধান করার পর। ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটি’র পক্ষে রিটকারী ১৫ বিশিষ্টজনের মধ্যে অনেকে ইতোমধ্যে মারা গেছেন।

রিট আবেদনকারীরা হলেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, কবি সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, সাবেক বিচারপতি কে এম সোবহান, অধ্যাপক খান সরওয়ার মুর্শিদ, আইনজীবী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, কলিম শরাফী, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্ত, বদরুদ্দীন উমর, সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর ও অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
এদিকে রাষ্ট্র ধর্ম বহাল রাখার দাবিতে আজ দেশব্যাপী হরতাল পালন করছে জামায়াত।
২৮ মার্চ ২০‌১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে