ঢাকা : আদালত কর্তৃক দুই মন্ত্রী দণ্ডিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। দুই মন্ত্রীর সাথে বর্তমান মন্ত্রিসভা থেকে সব মন্ত্রীকে বাদ দেয়ারও দাবি জানান তিনি।
২৮ মার্চ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহাম্মদ মুনির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মহিলা দলের শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
এসময় ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা লুটের ঘটনায় দোষীদের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সরকারের সাহায্য ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকা চুরি হতে পারে না। এ ঘটনায় পুরো মন্ত্রিসভা তথা সরকারকে পদত্যাগ করা উচিত। ভালো মানুষ হলে প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী পদত্যাগ করতেন।
দুই মন্ত্রিকে কুলাঙ্গার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এভাবে চলতে পারে না। পুরো মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হবে। বর্তমানে দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। শুধু নৌকা মার্কার ভোট হচ্ছে। এ জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, একটি নতুন কমিটি গঠনের পর আমাদের নেত্রী ডাক দেবেন। আপনারা তৈরি হোন। সবাই মিলে রাজপথে নেমে আন্দোলন জোরদার করতে হবে। এভাবে এ সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে।
এসময় তিনি বিএনপির এবং অঙ্গ সংগঠনের সব রাজবন্দির মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও আমাদের স্বাধীনতা অর্থহীন। নির্বাচন কমিশনাররা সরকারের গোয়ার গোবিন্দ। তারা সরকারের ক্রীতদাস। তারাই সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে।
দণ্ডিত দুই মন্ত্রী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা হলো কুলাঙ্গার। তারা আদালতকে কলঙ্কিত করেছেন। সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো এবং ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ায় দুই মন্ত্রীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকেও পদত্যাগ করতে হবে।
২৮ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম