নিউজ ডেস্ক : ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন দাখিল করেছেন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা আমির মতিউর রহমান নিজামী।
আইন অনুযায়ী আপিল বিভাগের চূড়ান্ত পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রিভিউয়ের জন্য ১৫ দিন সময় পান আসামী। সে অনুযায়ী নিজামীর শেষ দিনছিল আগামীকাল বুধবার। এর এক দিন আগেই রিভিউ করলেন তিনি।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবীরা রিভিউ আবেদন দাখিল করেন। নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজীব মোমেন বলেন, ‘৭০ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ৪৬টি যুক্তি দেখানো হয়েছে।’
এর আগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ গত ১৫ মার্চ ১৫৩ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন। আপিল বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
ওই দিনই সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মো. শহীদুল আলম ঝিনুকের হাতে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পৌঁছে দেন। এরপর বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারক আসামির মৃত্যু পরোয়ানায় সই করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে থাকা মতিউর রহমান নিজামীকে ১৬ মার্চ মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শুনানো হয়।
রিভিউ খারিজ হলে আইনি আর কোনো প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ তার হাতে থাকবে না। সেক্ষেত্রে কারাবিধি অনুযায়ী দোষ স্বীকার করে নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন তিনি।
প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে নির্বাহী আদেশে তার ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। আর প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
২৯ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস