স্পোর্টস ডেস্ক : সাতক্ষীরার অজ পাড়া গায়ে জন্ম নেয়া মুস্তাফিজুর রহমান এখন গোটা ক্রিকেট বিশ্বের একটি পরিচিত নাম। কাটার খ্যাত এই বিস্ময় বালক মুস্তাফিজকে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। বিশ্বের ক্রিকেট তারকারাও মুস্তাফিজের বোলিং রহস্যও ধরতে পারছে না। বিভ্রান্ত হচ্ছেন বর্তমান সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানরাও।
সাতক্ষীরা শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে কালীগঞ্জের তারালি ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামে ১৯৯৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জন্ম মুস্তাফিজের। চার ভাই ও দু’ বোনের মধ্যে বেড়ে ওঠা তার। মুস্তাফিজের বড় ভাই গ্রামীন ফোনের টেরিটরি অফিসার হিসেবে কর্মরত আছে। অন্য দুই ভাই ঘের ব্যবসায়ি।
মুস্তাফিজ লেখাপড়ায় তেমন ভাল ছিল না। সে বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। অনুর্ধ ১৬. ১৮ ও ১৯ দলে জেলা পর্যায়ে খেলেছে সে। তার বাবা-মা চেয়েছিল সে ডাক্তার হোক। কিন্তু সে হয়েছে বিশ্ব-খ্যাত ক্রিকেটার। মুস্তাফিজ তার বোলিং নৈপুণ্য দিয়েই অল্প সময়ে অর্জন করেছে গোটা ক্রিকেট বিশ্বে জনপ্রিয়তা।
সাতক্ষীরা গণমুখী সংঘের কোর্চ আলতাফই প্রথম ধরতে পেরেছিলেন মুস্তাফিজের ভেতরের ‘ধারটা’। হিরে চিনে নিয়ে ঘষামাজার কাজটি তিনি শুরু করে দেন। জেলা পর্যায়ে এসে মুস্তাফিজকে আরও পরিণত করে তুলতে পরিশ্রম করেন সাতক্ষীরার জেলা কোচ মুফাসিনুল ইসলাম তপু। সকলের পরিশ্রমের প্রতিদান দিতে পেরেছেন মুস্তাফিজ।
জেলা পর্যায়ের পর খুব বেশি দিন তাকে অপেক্ষা করতে হয়নি। ডাক পেয়ে যান খুলনার বিভাগীয় দলে খেলার। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ফাস্ট বোলিং ক্যাম্পে ট্রায়াল দিতে এসে কোচরা আর ছাড়েননি এই প্রতিভাকে। নিয়মিতই অনূর্দ্ধ-১৯দলে খেলেছেন। বল করতেন জাতীয় দলের নেটেও। তবে সম্ভবনার দ্রুতি ছড়িয়েছেন অনূর্দ্ধ-১৯ বিশ্বকাপে। তার ঝুলিতে ভরেছিলেন নয়টি উইকেট। হয়েছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। এর পরের গল্প সবারই জানা।
লেখাপড়ায় তেমন মন ছিল না, শুধুই খেলতে চাইতো। আর সেই খেলাই তাকে চরম শিখরে নিয়ে গেছে। সে তেঁতুলিয়া গ্রাম ও বাংলাদেশকে নতুনভাবে পরিচিত করেছে বিশ্বদরবারে’। খেলাধুলায় অতি আগ্রহী মুস্তাফিজ স্কুলে যাবার নাম করে ছেলেবেলায় চলে যেত সাতক্ষীরায় অনুশীলন করতে। এভাবেই সে একদিন সাতক্ষীরার কোচ আলতাফ হোসেনের নজরে আসে। সে নিয়মিত অনুশীলন করতে আসতো। সেখান থেকে তাকে বাছাই করা হয় বিভাগীয় পর্যায়ে খেলার জন্য। এভাবেই বিভাগীয় পর্যায় থেকে জাতীয় দলে প্রবেশ তার।
২৯ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/কামাল/এমকেএইচ