বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬, ০১:৪৬:৫১

দেশের মানুষ ভোট আতঙ্কে আছে

দেশের মানুষ ভোট আতঙ্কে আছে

নিউজ ডেস্ক : বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষ এখন ভোটের আতঙ্কের মধ্যে আছে। আগে ভোটের আগে থাকত উৎসব মুখরতা, এখন উল্টো। ভোটের আগে থেকে মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে সবচেয়ে বড় ব্যক্তি সবচেয়ে পক্ষপাতদুষ্টু। রাজধানীর বারিধারার নিজ বাসভবনের নিচতলায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মেজর আবদুল মান্নান (অব.)-সহ আরও অনেকে।

বি চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্র নিয়ে কী বলব? এখন রাজনৈতিক বিষয়ে যত কম কথা বলা যায় তত ভালো। কোনো মিটিং হয় না। মিছিল করলে গুলি করা হয়। কর্মীরা গায়েব হয়ে যায়। দেশ এভাবে চলতে পারে না। সরকারকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলতে চাই, তাদের বুঝতে হবে সমস্যা কোথায়? শুধু দলকে চালিয়ে নিলেই হবে না। দেশটাও চালাতে হবে। কিন্তু সরকারি দল দলটাই চালাতে চায়। এটাই শপথভঙ্গ।

তিনি আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের বিষয়ে সরকারের দ্বিধাদ্বন্দ্বের সমালোচনা করে বলেন, আদালত সরকারের দুই মন্ত্রীকে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে সাজা দিলেও সরকার এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমার এও মনে হয়, এই দুই মন্ত্রীও রিজাইন দিবেন না। কারণ, তাদের দুই কানই কাটা গেছে। তিনি বলেন, সারা দেশে সামাজিক অবক্ষয় চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে এবং একে রুখতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রথমে সরকারকে দাঁড়াতেই হবে বলে মনে করেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

তার ভাষ্য, আজকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খুন হয়ে যাচ্ছে, গুম হয়ে যাচ্ছে, তনুর মতো মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হয়ে খুন হচ্ছে। এগুলো আগে ছিল না। সাবেক এই রাষ্ট্রপতি সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন। আয় উপার্জন বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বি. চৌধুরী বলেন, ডলার ইনকাম বেড়েছে কিন্তু এটা একটা ব্লাফ। মাথাপিছু ইনকাম বেড়েছে সমাজের গুটি কয়েক মানুষের জন্য, সাধারণ মানুষের জন্য নয়।

শিক্ষার মান নিম্নগামী হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার মান ও স্থিতিশীলতা না থাকায় কিছু বিত্তবান লোক তাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। তিনি শেয়ার মার্কেটে ধসের বিষয়ে বলেন, এতে করে হাজার হাজার যুবক তাদের পুঁজি হারিয়েছে। মনোবল হারিয়েছে। আর অর্থমন্ত্রী বলেন শেয়ার মার্কেট ছেড়ে দিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরি হয়ে যায়। এতেও অর্থমন্ত্রী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। কিন্তু গভর্নর ভদ্রলোকের সন্তান দেখে পদত্যাগ করেছেন।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে বি. চৌধুরী বলেন, চাল ডাল, বাস ভাড়া, ট্যাক্সি ভাড়া বেড়েছে, জনগণের আয় বাড়েনি। এটা কি অর্থনৈতিক অগ্রগতি। নতুন কেউ শিল্প বিনিয়োগে এগিয়ে আসছেন না। কিছু লোক আঙ্গুল ফুলে তালগাছ হয়ে গেছেন।

এসবের বিরুদ্ধে মানুষকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে বি চৌধুরী বলেন, হাল ছাড়া যাবে না। এখন সবাই বিপদে আছে। দেশকে বাঁচাতে হলে সরকারের কাঁধে দায়িত্ব ছেড়ে দিলে চলবে না। বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তিনি বলেন, আপনারাও দেশের কথা ভাবুন। জনগণকে বলুন সংহত হতে। -বিডি প্রতিদিন

৩০ মার্চ, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে