নিউজ ডেস্ক : বিশ্বে ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে জাপানে একের পর এক ভূমিকম্প আঘাত হানছে। মিয়ানমারে ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠল বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ।
ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে প্রশান্ত অঞ্চলের দেশ টঙ্গোতেও। ফিলিপাইন ও ভানুয়াতুতেও ভূমিকম্প হয়েছে। এসব ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই রোববার সকালে ইকুয়েডরে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে, তাতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪২ জন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে ছোটোখাট ভূমিকম্প ছাড়াও অন্তত চারটি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে।
এ অবস্থায় আমেরিকার এক শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, গত এক সপ্তাহের ভূমিকম্পগুলো ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা হতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোর ভূতত্ত্ববিদ রজার বিলহাম দা ডেইলি এক্সপ্রেসকে বলেন, বর্তমানে যে অবস্থা আরো চারটি শক্তিশালী ভূকিকম্পের সৃষ্টি করতে পারে, যার মাত্রা হবে ৮.০ এর চেয়ে বেশি।
যদি সহসাই তা না ঘটে তবে আরো শক্তি সঞ্চার করে আরো ভয়াবহ আকারে ভূমিকম্পের সৃষ্টি করতে পারে।
গত এক সপ্তাহে এসব ভূমিকম্প হয়েছে তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ার’ ভুক্ত দেশগুলোতে। প্রশান্ত মহাসাগরের ঘোড়ার খুরের নালের আকৃতির এ অঞ্চলে টেকটোনিক প্লেটগুলো স্থান বদলাচ্ছে। এসব অঞ্চলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতও সাধারণ ঘটনা।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ বলছে, বড় ধরনের ভূমিকম্প বিরল তবে অসম্ভব নয়। যেখানে এই প্লেট স্থানান্তরের ঘটনা ঘটছে তা ১০ মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করার ক্ষমতাসম্পন্ন।
তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। গত ১০০ বছর ধরে তা শুধু পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক যে ধরনের ভূমিকম্প হচ্ছে তা কোনোভাবেই উড়িয়ে দেয়া যাবে না।
সূত্র : ডেইলি মেইল
১৭ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম