নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপর খুশি ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশ। মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী মুফতি ফয়জুল্লাহ নেতৃত্বাধীন এই অংশ গত বছর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে বেরিয়ে আসে।
নেজামী-ফয়জুল্লার বিবৃতিতে বলা হয়, “ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে এবং ধর্মের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জোরালো অবস্থান এবং সময়োপযোগী, প্রশংসনীয় বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছে ইসলামী ঐক্যজোট। এদেশের ৯২% মানুষের হৃদয়ের কথা ফুটে উঠেছে নাস্তিকবিরোধী সমালোচনা ও হুঁশিয়ারিতে।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অত্যন্ত ইতিবাচক। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে, ইসলাম ও রাষ্ট্রদ্রোহী, বেঈমান-নাস্তিক মুরতাদ, আল্লাহবিরোধী চোর-ডাকাত, মহানবী (সা.)বিদ্বেষী শয়তানি চক্র প্রতিরোধে বাংলাদেশ এখন সংঘবদ্ধ।
ইসলামী ঐক্যজোট নেতারা ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে সংসদে আইন করা এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি।
সরকার প্রধানের বক্তব্যে স্বাগত জানানোর সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের কার্যক্রমের সমালোচনাও করেন নেজামী ও ফয়জুল্লাহ।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাহেলি নাস্তিক্যবাদী ও কমিউনিস্ট শক্তি পাঠ্যসূচি থেকে ধর্মীয় ও নৈতিকতানির্ভর অনেক নিবন্ধ ও কবিতা বাদ দিয়ে কৌশলে জাতিকে ধর্মহীন করার এবং প্রগতি, আধুনিকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ইসলামবিনাশী, বিজাতীয় অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধর্মবিমুখ করার ষড়যন্ত্র করছে।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালে গণজাগরণ আন্দোলন শুরুর পর ‘নাস্তিক ব্লগার’দের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন নেজামী-ফয়জুল্লাহরাও। তখন সেই আন্দোলনে সমর্থন ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। শেখ হাসিনার কণ্ঠেও উঠে এসেছিল- আমারও মন ছুটে যায় শাহবাগে।
শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক এক বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে সোমবার ইসলামী ঐক্যজোট নেতাদের বিবৃতি দয়, যাদের ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম রাখার আহ্বান জানিয়ে কদিন আগেও হেফাজতের মিছিলে দেখা গিয়েছিল।
শেখ হাসিনা গত সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্ত চিন্তার নামে’ লেখালেখির সমালোচনা করে বলেন, “মুক্তচিন্তার নামে এমন সব কথা লেখা হয়। তা পড়া যায় না, ঘেন্না হয়।”
১৯ এপ্রিল ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস