ঢাকা : সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা ও অপহরণের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের পর কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে আসছে বিষধর সাপ বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা জয়কে হত্যা ও অপহরণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ১৬ এপ্রিল প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয় তাকে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে দণ্ডিতদের স্টেটমেন্ট ও এফবিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী শফিক রেহমানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার শফিক রেহমানের বাসায় যে ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে, তাতে আর সন্দেহের অবকাশ নেই। জয়কে হত্যা ও অপহরণের চক্রান্ত এখানে আছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শফিক রেহমান নিজেই বাসা থেকে যে ডকুমেন্টগুলো ডিবির হাতে তুলে দিয়েছেন আমার মনে হয়, কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে আসছে অনেক বিষধর সাপ। এটি ছিল সুনির্দিষ্ট একটি হত্যা চক্রান্ত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত যা পাওয়া যাচ্ছে তা ভয়াবহ। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই যে, এর সঙ্গে কারা জড়িত, কীভাবে জড়িত। তবে বিচার হওয়ার আগে আমি সুনির্দিষ্ট করে কোনো বিষয়ে কথা বলতে চাই না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে প্রকাশ্যে আন্দোলন করে যারা সরকার হঠাতে ব্যর্থ, এখন হয়তো তারা অন্ধকারের পথ বেছে নিয়েছে। এটাই আমরা মনে করছি। বেশিদিন ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে অস্থিরতায় গায়ের জোরে ক্ষমতায় আসার অভিসন্ধি থাকতে পারে।
তিনি বলেন, জয় বঙ্গবন্ধু পরিবারের নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি ও ভবিষ্যৎ নেতা। বাংলাদেশে আইসিটি বিপ্লবের যে সূচনা হয়েছে তার স্থপতি হচ্ছেন জয়। তারা প্রতিভা ও মেধাকে যারা ভয় পায় তারাই জয়কে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছে।
মন্ত্রী বলেন, এর আগে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৯টি হত্যা প্রচেষ্টা হয়েছে। জয় হত্যার পরিকল্পনা বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার সুগভীর ষড়যন্ত্র। আমেরিকায় যাদের দণ্ড দেয়া হয়েছে তাদের স্টেটমেন্টে বাংলাদেশের জড়িতদের নামগুলো এসেছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক হিসেবে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে এটা ঠিক নয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে সরকারের রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জয়ের সঙ্গে তথ্য সেনসেটিভ (সংবেদনশীল) হবেই। কারণ জয় আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্তরাধীকার হিসেবে মনে করছে জনগণ। ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আর কার কার নাম এসেছে সেটা ডিবি বলতে পারবে।
তিনি বলেন, ডিবি বিষয়টি তদন্ত করছে। এ বিষয়ে আরো বিষদ আলোচনার জন্য ডিবির প্রতিনিধি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন।
শফিক রেহমানের গ্রেফতারের বিষয়ে গণজাগরণ মঞ্চের ইমরান এইচ সরকার ও জয়ের পরস্পরের উদ্দেশ্যে দেয়া স্ট্যাটাসের বিষয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে দু’দিন আগে অনেকেই হয়তো ভেবেছে যে, এ ধরনের গ্রেফতার কেন করা হচ্ছে। আমার মনে হয়, গতকালের পর গ্রেফতার নিয়ে সব শংসয় কেটে গেছে। এতে ইমরানও বুঝতে পেরেছে, তার অভিযোগ তথ্যভিত্তিক ছিল না।
২০ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম