নিউজ ডেস্ক : বিশ্বে ২শ’ কোটি মানুষ বসবাস করছে এমন এলাকায় জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইলাইফ জার্নালে এ বিষয়ে বিস্তারিত মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এডিশ মশাবাহিত এই ভাইরাইসের কারণে চলতি বছর বিশ্বব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, গেল সপ্তায় যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র নিশ্চিত করেছে, শিশুজন্মের বড় ধরনের ত্রুটির জন্য এই ভাইরাস দায়ী।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মশারা কোথায় টিকে থাকতে পারে তা নির্ধারণের তুলনায় জিকা ছড়িয়ে পড়ার ম্যাপিং ছিল অনেক জটিল।
এই গবেষণায় যুক্ত একজন গবেষক অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. অলিভার ব্রাডি বিবিসিকে বলেন, জিকা সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রথম ম্যাপিং করা হল। এরআগে জিকার উপর করা ম্যাপগুলো ডেঙ্গু অথবা চিকুনগুনিয়া মতো করে তৈরি করা হয়ে ছিল।
তিনি বলেন, “আমরা প্রথমবারের মতো জিকা সম্পর্কে ভৌগলিক ও পরিবেশগত অবস্থার যথাযথ তথ্যের সন্নিবেশের মাধ্যমে এটি তৈরি করেছি।”
জিকা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য বিশ্বের (লাল চিহ্নিত) উপযুক্ত অঞ্চল। ছবি: বিবিসি
গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন, জিকার বর্তমান প্রদুর্ভাবের যে প্রকৃতি তাতে দক্ষিণ আমেরিকার বিশাল অংশ ঝুঁকিপূর্ণ।
ম্যাপে চিহ্নিত অঞ্চলগুলোতে বসবাসকারী মোট ২২০ কোটি মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছেন। জিকার কারণে হাজারও শিশু অপুষ্ট মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ব্রাডি বলেন, জিকা ছড়ানোর জন্য মশা শুধুমাত্র একটি শর্ত। কিন্তু আরো রয়েছে। মশার ভেতরে জিকা ভাইরাস প্রবেশ করার জন্য যথেষ্ঠ পরিমাণ উষ্ণতার প্রয়োজন হয়। আর এরপর এটি ছড়াতে প্রয়োজন হয় বিশাল জনগোষ্ঠীর।
আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিশাল অংশ এই ভাইরাস ছড়ানোর জোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।
এখনো পর্যন্ত ইউরোপে জিকা সংক্রমণ ধরতে গেলে শূন্যের কোটায় মনে হলেও সেখানেও এটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খারিজ করে দিচ্ছেন না গবেষকরা।
২১ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস