নিউজ ডেস্ক : বনের প্রাণীকে চিড়িয়াখানায় এনে খাঁচায় বন্দী করে রাখা হয়। মানুষ সেই খাঁচাগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে বন্দী পশু-পাখি দেখে। স্বাধীনতা হারানো বন্দী প্রাণীগুলো যাতে মানুষের কারণে বিরক্ত না হয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সে চেষ্টা থাকে। তবে দর্শনার্থীরা প্রায়ই চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলোর জন্য বিরক্তির কারণ হয় দাঁড়ান।
অবশ্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে চিড়িয়াখানার ভেতরে একাধিক স্থানে দর্শনার্থীদের জন্য নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে কর্তৃপক্ষ; যেখানে চিড়িয়াখানার প্রাণীদের বিরক্ত না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
চিড়িয়াখানার প্রতিটি খাঁচার সামনে নির্দেশনা দেয়া রয়েছে: নিরাপত্তা বেষ্টনির ভেতরে প্রবেশ করবেন না, প্রাণীকে ঢিল ছুঁড়বেন না, উত্যক্ত করবেন না। তবে এসব নির্দেশনা মানতে খুব একটা আগ্রহী না দর্শনার্থীরা।
দর্শনার্থীদের অনেকে স্রেফ ‘মজা’ করার জন্য খাঁচার ভেতর ছোট লাঠি, ইট ইত্যাদি ছুড়ে মারেন। অনেকে আবার পশুপাখির দৃষ্টি আকর্ষণের মনোবাসনা নিয়ে তাদের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে খুব আগ্রহ নিয়ে হাতে তালি দেন, চিল্লাচিল্লি করেন।
এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর মোহাম্মাদ হাসান ইমামের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, প্রায় খাঁচার সামনে নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। এসব করতে নিষেধ করা আছে। তারপরও অনেকে করছে, যা আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। এজন্য আমরা টহল টিম বাড়িয়েছি। তারা টহল দিচ্ছে।
চিড়িয়াখানায় বানরের খাঁচার সামনে কয়েক যুবককে দেখা গেল গরমে অতিষ্ঠ বানরকে উত্যক্ত করছেন। কেন এমন করছেন জানতে চাইলে তারা বলেন, এমনিতেই মজা করছি। লাঠি দিয়ে খোঁচা দিলে বানরাও ভেংচি দিচ্ছে, সেই ছবি তোলার জন্যই এমন করছি।
অন্যান্য খাঁচার সামনেও একই চিত্র দেখা গেছে। -জাগো
২২ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সবুজ/এসএ