নিউজ ডেস্ক: তনু হত্যাকাণ্ডে কারা কারা জড়িত আছে তাদের নাম উল্লেখ করে একটি উড়ো চিঠি এসেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে। এ উড়ো চিঠিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তোলপাড়। কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার পর কে বা কারা কলেজে উড়ো চিঠি পাঠিয়েছে। এনিয়ে বৃহস্পতিবার দিনভর কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানামুখী আলোচনা হয়েছে। উড়ো চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছে ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুর রশিদ। অপর দিকে প্রায় এক মাস হয়ে গেলেও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিতে দেরি করায় ক্ষোভ বাড়ছে নগর কুমিল্লায়। ইতোমধ্যে ভিসেরা রিপোর্ট চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা এসে পৌঁছলেও তা স্বীকার কিংবা অস্বীকার কোনটাই করছে না চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত কমিটির প্রধান ডা. কামারা প্রসাদ সাহা। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কবে দিবেন তাও তিনি জানেন না বলে জানান।
ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুর রশিদ বলেন, কয়েকদিন আগে প্রেরকের ঠিকানা বিহীন একটি চিঠি আমার অফিসে এসেছে। সেখানে আমার ঠিকানায় শুধু- অধ্যক্ষ, ভিক্টোরিয়া কলেজ লেখা আছে। চিঠিতে কে কে খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়েছে। যা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়নি। তবে এচিঠি ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা বলে আমার মনে হয়েছে। চিঠিটি আমি পুলিশ অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি।
কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী তৈয়ুবুর রহমান সোহেল বলেন, শুনেছি কলেজে তনুর নামে কেউ চিঠি পাঠিয়েছে। তবে চিঠিতে কি লেখা আছে তা জানি না।
এ দিকে তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকে কেন্দ্র করে গঠিত তিন সদস্য চিকিৎসক কমিটির প্রধান ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামারা প্রসাদ সাহার কাছে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কবে নাগাদ দিবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেব। চট্টগ্রাম থেকে ভিসেরা রিপোর্ট ১০ এপ্রিল কুমিল্লা এসেছে তার পরও প্রকাশ করছেন না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিপোর্ট আসছে কি আসছে না এ ব্যাপারে আমি আপনাকে বলতে পারব না। কমিটির লোকদের সঙ্গে বসে জানাতে পারব। আগামী সপ্তাহে রিপোর্ট দিবেন কিনা তা জানেনা বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার নিকট থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করে তার পিতা ইয়ার হোসেন। পরদিন দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। প্রথম ময়নাতদন্তে তনুকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি এবং মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। ২য় ময়নাতদন্তের জন্য ৩০ মার্চ তনুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। ঘটনার ৩১ দিনেও পুলিশ হত্যাকারী শনাক্ত করতে।-মানবকন্ঠ
২২ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সবুজ/এসএ