নিউজ ডেস্ক : ধয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’। শ্রীলঙ্কায় তাণ্ডব চালিয়ে বর্তমানে ভারতে হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে এই প্রলয়ঙ্করী ঝড়। বলা হচ্ছে দুপুরের পরই এই রোয়ানু আঘাত হানবে বাংলাদেশে উপকূলীয় অঞ্চলে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র আঘাত হানার আশঙ্কায় উপকূলীয় এলাকার নিরাপদ আশ্রয় দিতে চট্টগ্রাম জেলাজুড়ে ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে জেলার উপকূলীয় বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজনকে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে দুর্র্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এই সভায় জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা আছে এমন এলাকায় মাইকিং করে সতর্কবার্তা প্রচার করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার প্রেরণ করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, আনসার ভিডিপি, বিদ্যুৎ বিভাগ, পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি, বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
এ ছাড়া যে কোনো প্রয়োজনে যে কোনো মুহূর্তে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের ৬১১৫৪৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা এলার্ট -৩ জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে ৭ নম্বর সতর্কতা সঙ্কেত জারি করায় বন্দর জেটি থেকে সব জাহাজকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে জেটি থেকে অধিকাংশ জাহাজ সরে গেছে। গভীর সমুদ্র থেকে সব জাহাজ ও মাছ ধরার ট্রলার তীরে ফিরে এসে নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করেছে।
২১ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন