বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬, ১১:৫৫:৫০

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতীয় কবিকে স্মরণ

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতীয় কবিকে স্মরণ

নিউজ ডেস্ক : শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্মরণ করছে পুরো জাতি। আজ কবির ১১৭ তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে কবির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শ্রদ্ধা জানিয়েছে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এছাড়া সারাদিন নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় কবিকে স্মরণ করবে বিভিন্ন সংগঠন।

কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। এবার কবির জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হচ্ছে চট্টগ্রামে। বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের এম এ আজিজ আউটার স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ‘সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতা রোধে নজরুলের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা থাকছে।

নানা আয়োজন ও উদ্যোগের মধ্য দিয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, শিল্পকলা একাডেমি কবির জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন করছে। এর মধ্যে আছে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ, কবির ছবি, পোস্টার ও বই প্রদর্শনী, পাঠ প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা ইত্যাদি।

বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি চ্যানেলগুলো কবিকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান ও অন্যান্য অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। কবির স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও কুমিল্লার দৌলতপুরে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় কবির জন্মবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে।

১৮৯৯ সালের এই দিনে (১১ জ্যৈষ্ঠ, ২৫ মে) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নজরুল। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ ও দার্শনিক।

১৯২১ সালে ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটির মধ্য দিয়ে সারা ভারতের সাহিত্যসমাজে সাড়া ফেলে দেন নজরুল। ১৯৪২ সালের জুলাই থেকে ১৯৭৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৪টি বছর নজরুল নির্বাক জীবনকাল পার করেন।

১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে সপরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশে আনা হয়। ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সমাবর্তনে কবিকে সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করে।

১৯৭৬ সালে কবিকে দেওয়া হয় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব। তাকে ‘একুশে পদক’ দেওয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট (১২ ভাদ্র ১৩৮৩) ঢাকার পিজি হাসপাতালে কবি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
২৫ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে