নিউজ ডেস্ক : একটি যাত্রীবাহি বাসের টায়ার বাস্ট হয়ে ১০ যাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৩০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার সময় মাদারীপুরের সমাদ্দার এলাকার ব্রিজের রেলিং ভেঙে বাসটি খালে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনার শিকার বাসটি থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা দাবী করেছেন, অতিরিক্ত যাত্রী উঠানোর ফলে এ ঘটনা ঘটেছে। তারা জানান, ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা সদরে যাওয়ার জন্য সুগন্ধা পরিবহনের বাসটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা থেকে রওনা হয়। বাসটি মাদারীপুরের টেকেরহাট স্ট্যান্ডে এসে আরও কিছু যাত্রী ওঠায়। ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নেয়ার কারণেই ব্রিজের উঠার সময় বাসটির সামনের ডান চাকার টায়ার ফেটে যায়।
আহত বাসযাত্রী মেহেদী হাসান চিকিৎসা নিচ্ছেন মাদারীপুর সদর হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘বাসটিতে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। অনেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাসটি ব্রিজে ওঠার সময় হঠাৎ বিকট শব্দ হয়ে খালে পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জানালা ভেঙে যাত্রীদের উদ্ধার করেন।’
নিহতদের লাশ রাখা হয়েছে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে। সেখানে শুধু হীরালাল বাড়ৈয়ের এক স্বজনকে পাওয়া যায়। লাশের পাশে বসে কাঁদছিলেন তার ভাইয়ের স্ত্রী বকুল রানি।
তিনি বলেন, ‘মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবারি এলাকায় কুম্ভমেলায় অংশ নিয়ে হীরালাল ও তার স্ত্রী ঊর্মিলা বাড়ৈ বরিশালে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। এই বাসে উঠতে না পেরে তিনি (বকুল) ও তার স্বামী পেছনের বাসে ওঠেন। দুর্ঘটনায় ঊর্মিলা বাড়ৈ আহত হলে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শশাঙ্ক কুমার ঘোষ বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহত ৩৪ যাত্রীকে এখানে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।’
এছাড়া আরও ১০-১১ জন যাত্রীকে মাদারীপুরের রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) সরোয়ার হোসেন বলেন, নিহত ছয়জনের পরিচয় মিলেছে। এখনো সবার স্বজনেরা হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেননি। যাদের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
২৮ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন