নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্ব মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ফলাও করে প্রচার হয়েছে।
খিস্টান টুডে, ম্যানিলা টাইমস, দ্য হিন্দু, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস, মিরর, রেডিও নিউজিল্যান্ড, র্যাড্ডিফ ডটকম, আল জাজিরা, রয়টার্স, ভয়েস অব আমেরিকা, সিনহুয়া অনলাইন, আরটিই, দ্য স্ট্রেইট টাইমস, ফক্স নিউজ ও এবিসি অনলাইনে বাংলাদেশের এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে।
এসব মিডিয়ার খবরে বলা হয়, চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু আক্তার খুন হয়েছেন। রোববার সকাল সোয়া সাতটার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড়ে বাসার সামনে মোটরসাইকেলে করে আসা তিনজন দুর্বৃত্ত পুলিশ সুপারের স্ত্রীকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
জঙ্গি দমনে আলোচনায় আসা পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার একাধিক রাষ্ট্রীয় পদকও পেয়েছেন। সাহসিকতায় পরিচয় দেয়া চৌকস এই পুলিশ কর্মকর্তা চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার থাকাকালে গত বছরের অক্টোবরে অসংখ্য অস্ত্র-গুলিসহ জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
নগরের কর্ণফুলীর খোয়াজ নগর থেকে শুরু করে ডিসেম্বর পর্যন্ত হাটহাজারীর আমানবাজারে টানা অভিযান চালান তিনি। খোয়াজ নগরে অভিযান চালানোর সময় জঙ্গিরা তাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়লেও প্রাণে বেঁচে যান তিনি। ওই অভিযানেই চট্টগ্রামে জঙ্গিদের অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায়।
এরপর থেকে বাবুল আক্তার নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কায় থাকলেও পিছু হটেননি। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে একাধিক জেএমবি সদস্য ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের নেতৃত্ব দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। সম্প্রতি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকায় আসার পরই খুন হন তার স্ত্রী।
অদম্য এই সাহসী মানুষটির স্ত্রীকে খুন করে দুর্বৃত্তরা। অথচ এর আগে তার পরিবারের সদস্যরা ব্যক্তিগত আলাপে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তার কথা প্রকাশ করেছিলেন।
স্ত্রীর অকাল মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ বাবুল আক্তার। ঢাকায় বসে স্ত্রী হত্যার দুঃসংবাদ শুনে র্যাবের বিশেষ হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামে আসেন তিনি।
হাসপাতালে প্রিয়তম স্ত্রীর নিথর মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই পুলিশ কর্মকর্তা। সহকর্মী ও সাধারণ মানুষের অসম্ভব প্রিয় এ মানুষটিকে তখন কেউ সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা পায়নি।
৫ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম