শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০১৬, ০৩:১৩:৩৩

আমরা তনুর মায়ের পাশে রয়েছি

আমরা তনুর মায়ের পাশে রয়েছি

নিউজ ডেস্ক: জনপ্রিয় ও এককালের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী এবং সাবেক সাংসদ কবরী বলেছেন, নৃশংসভাবে নিহত কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর মা আনোয়ারা বেগমকে বলব, আপনি আপনার আত্মজা হত্যার বিচার অবশ্যই পাবেন। আমরা আপনার পাশে রয়েছি। এক সাক্ষাৎকালে তিনি বারবার অশ্রুরুদ্ধ হয়ে ওঠেন। তার প্রশ্ন, এখনও আমাদের ভয়ভীতি ও আস্থাহীনতার পথে কেন চলতে হচ্ছে। প্রতিদিনই হত্যা, ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, মারামারি-হানাহানি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দখল, ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো পরিস্থিতির অবসান প্রয়োজন। সরকার, বিরোধী দল ও সাধারণ মানুষ এ তিনের সমন্বয়ে দেশে স্থিতিশীলতা থাকতে হবে। রাজনৈতিক ঐক্য হলেই দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।

কবরী বললেন, দেশভাগের পরেই আমাদের ভাষার ওপর, সংস্কৃতির ওপর আঘাত হেনেছে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী। তার পরই মুক্তিযুদ্ধ। আমি এক কাপড়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়লাম। ছোট্ট একটি ব্যাগে দুটি শাড়ি আর ছেলের দুটি শার্ট-প্যান্ট এবং অল্প কিছু টাকা নিয়ে অনিশ্চিত এক ভবিষ্যতের দিকে পাড়ি জমালাম। আমি কবরী; তখনও আমি তারকা। আমার তো এভাবে যাওয়ার কথা ছিল না। তার পরও পথ চলেছি। একবারও ভাবিনি, আমার সম্পত্তির কী হবে, আমার ব্যাংক ব্যালান্সের কী হবে? যারা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, তারা ভাবেননি দেশ স্বাধীন হলে তারা কী পাবেন? কেউই মন্ত্রী, সাংসদ কিংবা বড় পদের লোভে জীবনবাজি রেখে রণাঙ্গনে যাননি।

কবরী আরও বলেন, সেদিন, নারায়ণগঞ্জের সাংসদ সেলিম ওসমান একজন শিক্ষককে ধর্মের বিরুদ্ধে কথিত কটূক্তি করার অভিযোগে সবার সামনে কান ধরে ওঠবস করালেন। ধর্মের নামে নাস্তিক-আস্তিক দ্বন্দ্বে প্রাণ হারালেন ছয়-সাতজন ব্লগার। চাপাতির কোপে প্রাণ হারালেন পুরোহিত, খ্রিস্টান ধর্মযাজক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিমসহ আরও কতজন। কবরী বলেন, তাদের হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ইসলাম কাউকে হত্যা করার অনুমতি দেয় না। শুধু ইসলাম কেন, কোনো ধর্মই কাউকে হত্যা করার অনুমতি দেয় না। কেউ যদি ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে, তাতে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে; দুই পক্ষকে আলোচনায় বসাতে হবে। এটা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ। তবে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করা যেমন ঠিক নয়, তেমনি তাকে হত্যা করারও অধিকার নেই কারও। আমাদের প্রত্যাশা, বঙ্গবন্ধু যে লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন, আমরা সবাই মিলে তা পূরণ করতে সক্ষম হবো।-সমকাল

২৪ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে