রবিবার, ১০ জুলাই, ২০১৬, ০১:২৭:০৪

পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন বাহিনী গঠন ও নানা পরিকল্পনা

পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন বাহিনী গঠন ও নানা পরিকল্পনা

নিউজ ডেস্ক : গুলশান ও কিশোরগঞ্জে জঙ্গিদের হামলার ঘটনা সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে। আগামীতে এসব হামলা রোধ করার জন্য নানা ছক কষছে সরকার। এনিয়ে মন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা কাজ করছেন। সবকিছু দেখভাল করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বিষয় দেখছেন। নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে সারা দেশের কতজন তরুণ পরিবারের কাছ থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়ে গেছেন তার একটি তালিকা তৈরি করার কাজ চলছে। এখন ওই সব তরুণের আদ্যোপান্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের তথ্য সংগ্রহের পর ‘নিখোঁজ’দের পাসপোর্ট নম্বরগুলো দেশের সব বিমানবন্দরে দেয়া থাকবে। যাতে কোনো দেশে তারা গেলে বা দেশে ফিরলে শনাক্ত করা যায়। পাশাপাশি আটক করা যায়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে নিখোঁজ তরুণদের বন্ধুদের সম্পর্কেও খোঁজ রাখা হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, নিখোঁজ তরুণদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ওই সব তরুণের পরিবার স্বপ্রণোদিত হয়ে সহায়তা দিচ্ছেন। ফলে কাজগুলো অনেক সহজ হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার সবচেয়ে বেশি তরুণ নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের পরিবারের স্ট্যাটাস দেখলে যে কেউ ভড়কে যেতে পারেন। এদিকে গুলশানের ঘটনার সময় জঙ্গিদের হামলার বিষয়টি ছিল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নতুন ঘটনা।

এ কারণে দুয়েকটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্বলতা চোখে পড়েছে। ওই বিষয়টি নিয়েও কাজ চলছে। এ জন্য জঙ্গি মোকাবিলায় ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোর্স (এনএসএফ)-এর আদলে একটি বাহিনী গঠনের চিন্তাভাবনা চলছে। এনিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। অফিস খোলার পরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলোচনা করবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, কূটনৈতিক জোনে যে কোনো পরিস্থিতি এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারি আগের চেয়ে অনেক গুণ বাড়ানো হয়েছে। দূতাবাস ভবন ও কূটনীতিকদের বাসভবন নিরাপত্তায় আলাদা নজর দেয়া হচ্ছে। কূটনৈতিকভাবে আরো জোরালো ভূমিকা রাখার বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে। এ জন্য সহসাই ইতালি ও জাপান সফরে যেতে পারে আলাদা দুটি কূটনৈতিক টিম। সরকারের ভেতরে এমন আলোচনাও রয়েছে।

১৪ দল সূত্রে জানা গেছে, গুলশান ও কিশোরগঞ্জের ঘটনার পর জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেশাজীবীদের কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা চলছে। পাশাপাশি দলের অন্য অঙ্গ সংগঠনগুলোকেও কাজে লাগানো হবে। এ জন্য ঈদের পরদিনও দফায় দফায় ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। সব মিলিয়ে জঙ্গি দমনের জন্য নানা প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। -মানবজমিন
১০ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে