সোমবার, ১১ জুলাই, ২০১৬, ১২:৪৩:৪৮

সেই পুরনো শর্তে অনড় আওয়ামী লীগ

সেই পুরনো শর্তে অনড় আওয়ামী লীগ

নিউজ ডেস্ক : সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে বিভিন্ন পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের আহ্বান এলেও এ ইস্যুতে পুরনো শর্তে অনড় আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা বলছেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতকে সঙ্গে রাখলে বিএনপির সঙ্গে বসার সুযোগ নেই। যেকোনো ইস্যুতে এক টেবিলে বসতে হলে বিএনপিকে আগে জামায়াত ছাড়তে হবে। তবে চলমান সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে সম্মিলিত উদ্যোগের বিষয়ে একমত আওয়ামী লীগের নেতারা।

সম্প্রতি দেশে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের দাবি ওঠে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করে। দেশে গুপ্তহত্যা ও জঙ্গি হামলার সঙ্গে জামায়াত ও শিবির সরাসরি জড়িত বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে আওয়ামী লীগ। শুধু আওয়ামী লীগ নয় জোটবদ্ধভাবেও একই দাবি জানিয়েছে তারা।

এ নিয়ে সম্প্রতি মানববন্ধনসহ বেশ কয়েকটি কর্মসূচি পালন করে। গুলশান হত্যাকাণ্ডের পরই খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের প্রস্তাব করলে সরব হয়ে ওঠেন আওয়ামী লীগ নেতারা। বিএনপি নেত্রীর এ আহবান সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে বক্তব্য রাখেন দলটির নেতারা।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি তো এখনো চিহ্নিত রাজাকার জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। আগে তারা জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করুক, পরে আমরা দেখবো।

একই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, অবশ্যই, জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন আছে। এটা আমরাও মনে করি। কিন্তু জাতীয় ঐক্য হবে কার সঙ্গে? যিনি জঙ্গি লালন করছেন, জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতা করছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পৃষ্ঠপোষকতা করছেন তার সঙ্গে? তাহলে তার সঙ্গে কীভাবে জাতীয় ঐক্য সম্ভব? উনি আগে যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ করুক। অতীত ভুলের জন্য অনুশোচনার বহিঃপ্রকাশ করুক। তাহলে উনার সঙ্গে জনগণের ঐক্য হতে পারে। আমাদের ঐক্যও হতে পারে। কারণ, জাতীয় ঐক্য আমরাও চাই।

হানিফ বলেন, খালেদা জিয়ার এই আহ্বান সবার কাছেই অবাক করার বিষয় হয়েছে। হ্যাঁ যদি এই কথাগুলো খালেদা জিয়ার অন্তরের কথা হয়, তাহলে তিনি অতীত উপলব্ধি নিয়ে আগামীর পথ চলা শুরু করবেন।

হানিফ আরও বলেন, খালেদা জিয়া যদি অতীত কর্মকাণ্ডের ওপর অনুতপ্ত হয়ে এই কথাগুলো বলে থাকেন তাহলে জাতি আশাবাদী হবে। ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আন্দোলনে গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এ সব অপশক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে জাতি হিসাবে আমাদের ঐক্যবন্ধ থাকতে হবে এবং এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতনভাবে ঐক্যবন্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশে যতগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটেছে, তার কারণ খুঁজে পেতে গিয়ে জামায়াত ও শিবিরের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। আর এ পর্যন্ত গুপ্তহত্যার ঘটনায় যারা আটক হয়েছে তাদের জবানবন্দিতে বলছে, তারা কোনো না কোনো সময় জামায়াত এবং শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। -এমজমিন
১১ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে